দলিত সভায় সংঘর্ষ, উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র

জাতি সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র। কোরেগাঁও যুদ্ধের দু’শো বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে গত কালের হাঙ্গামার জেরে আজ বিক্ষোভ ছড়াল বহু জায়গায়। দলিত ও মরাঠাদের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে দোকানপাট-অফিস বন্ধ হয়েছে মুম্বই ও শহরতলিতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৪
Share:

উত্তাল: কোরেগাঁওয়ের ঘটনার জেরে দলিতরা বিক্ষোভ দেখালেন ঔরঙ্গাবাদেও। পরিস্থিতি সামলাতে সক্রিয়তা পুলিশের। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।

জাতি সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র। কোরেগাঁও যুদ্ধের দু’শো বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে গত কালের হাঙ্গামার জেরে আজ বিক্ষোভ ছড়াল বহু জায়গায়। দলিত ও মরাঠাদের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে দোকানপাট-অফিস বন্ধ হয়েছে মুম্বই ও শহরতলিতে। রাস্তা রোকো, রেল অবরোধও হয়েছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে দলিতদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারকে নিশানা করেছেন রাহুল গাঁধী। মহারাষ্ট্রে ভোটের আগে বিরোধীরা দলিতদের এককাট্টা করার চেষ্টা করায় পাল্টা পথে নেমেছে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে কোরেগাঁও-এর সংঘর্ষ নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। তবে সেখানে যুবকের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের ভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে হস্তক্ষেপ করেছে আরএসএস-ও। সংগঠনের অন্যতম নেতা মনমোহন বৈদ্য এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

১৮১৮ সালে পুণের কাছে ভীমা- কোরেগাঁও-এর যুদ্ধে দলিতদের জয়কে তুলে ধরতে সোমবার জনসভা করেছিল কয়েকটি দলিত সংগঠন। জিগ্নেশ মেবাণী, জেএনইউ-এর ছাত্রনেতা উমর খালিদ, রোহিত ভেমুলার মা রাধিকা এতে যোগ দেন। দলিত, সে সময়ে ‘অচ্ছুত’ বলে দূরে ঠেলে দেওয়া মহার যোদ্ধারা যে ভাবে পেশোয়া বাহিনীকে হারিয়েছিল, তার কথা তুলে ধরে এখন বিজেপির বিরুদ্ধে দলিত ঐক্য গড়ার ডাক দেন সভায় উপস্থিত বক্তারা।

Advertisement

কিন্তু বিজেপি ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলির বক্তব্য, দ্বিতীয় পেশোয়া বাজীরাও-এর সেনা লড়েছিল ব্রিটিশের সঙ্গে। দলিতরা ব্রিটিশ সেনার পাশে দাঁড়িয়ে লড়েছিল। এখন সেই জয়ের কথা টেনে আনার অর্থ ব্রিটিশের জয়কে তুলে ধরা। এই বিতর্কের মধ্যে কাল সন্ধ্যায় দলিতরা যখন যুদ্ধের স্মৃতি স্মারকের দিকে যাচ্ছেন, তাদের বাধা দেয় কিছু লোক। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যু হয় এক যুবকের।

এর জেরে মুম্বই ও শহরতলিতে আজ বিক্ষোভ ছড়ায়। বেশ কিছু স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা গোভান্দি-চেম্বুরের মধ্যে রেল আটকায়। চেম্বুর, মুলন্দ, কুরলায় রাস্তা অবরোধ হয়। এই পরিস্থিতিতে টুইটারে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি-সঙ্ঘের ফ্যাসিস্ট দৃষ্টিভঙ্গির মূল কথা, দলিতদের সমাজের শেষ প্রান্তে রেখে দেওয়া।’’ ‘উনা, রোহিত ভেমুলা ও ভীমা-কোরেগাঁও প্রতিরোধের প্রতীক’ বলেও দাবি করেন রাহুল। মোদীর মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে ঘটনায় উদ্বেগ জানান। দলিতদের উপরে হামলার প্রতিবাদে কাল মুম্বই বন্‌ধ ডেকেছেন ভীমরাও অম্বেডকরের নাতি প্রকাশ। জিগ্নেশরা দিল্লিতে সভা করবেন ৯ জানুয়ারি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement