ভেঙে পড়া বহুতলে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ছবি টুইটার।
সময় যত গড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের বহুতল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তার মধ্যে ২ ঘণ্টায় পাওয়া গিয়েছে ৭টি দেহ। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে ৬০ জনকে। কিন্তু এখনও ওই আবাসনের অনেক বাসিন্দার খোঁজ মিলছে না। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রায়গড় জেলার কাজলপুর এলাকায় ভেঙে পড়ে একটি পাঁচ তলা আবাসন। মাত্র ৭ বছরের পুরনো ওই আবাসনে ৪৫টি ফ্ল্যাট ছিল। দুর্ঘটনার পর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই বাড়িটি। বহুতল ধসে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা (এনডিআরএফ) এবং দমকলের বাহিনী। এখনও পর্যন্ত এনডিআরএফের ৩টি এবং দমকলের ১২টি দল দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
সময় যত পেরোচ্ছে তত জমাট বাঁধছে আশঙ্কাও। আহতদের মধ্যে যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাঁদের চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এত দিন মানুষের কোলাহল পূর্ণ কাজলপুরের ওই এলাকায় এখন স্বজন হারানোর হাহাকার। এ দিন দুপুরে ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে অবশ্য আশ্চর্যজনক ভাবে রেহাই পেয়েছে ওই শিশুটি।
আরও পড়ুন: ফোনে কৈলাস, বাড়িতে মেনন, জোড়া-কথা সেরে শোভন শিবির বলল ‘ভাল আলোচনা’
দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বহুতলের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তবে দুর্ঘটনার কারণ অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এমন একটি আবাসন ৭ বছরের মাথায় কী ভাবে ভেঙে পড়ল সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, অতি বর্ষার কারণেই মাটি আলগা হয়ে এমন বিপত্তি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় ক্ষতি হতে পারে চাষের, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস মমতার
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্ঘটনায় আহতেদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
দুর্ঘটনাটিকে ‘মর্মান্তিক’ আখ্যা দিয়ে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও। সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন।