Uddhav Thackeray

‘ইউ টার্ন’ এখন ‘উদ্ধব ঠাকরে টার্ন’! কৃষি ঋণ মকুবে খোঁচা বিজেপির

কৃষকদের ঋণ মকুব নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে ডিগবাজি খাচ্ছেন বলে বিঁধেছেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পুণে শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৩৯
Share:

জোটের বৈঠকের পর উদ্ধব ঠাকরে ও পুত্র আদিত্য ঠাকরে। ছবি: পিটিআই

‘মহা বিকাশ আঘাডি জোট’ ক্ষমতায় আসার পর চুপ করেই ছিল মহারাষ্ট্র বিজেপি। কিন্তু, গত শনিবার কৃষকদের ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানাল তারা। কৃষকদের ঋণ মকুব নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে ডিগবাজি খাচ্ছেন বলে বিঁধেছেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল।

Advertisement

মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের প্রথম সিদ্ধান্ত। আর সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার পক্ষকে প্রথম আক্রমণটা শুরু করল সে রাজ্যের একক বৃহত্তম দল বিজেপি। বুধবার, উদ্ধব ঠাকরেকে নিশানা করে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল বলেন, ‘‘মাত্র দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মকুবের ঘোষণা হয়েছে। আমরা জানি যে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু, এ বার প্রতিশ্রুতি আর তার প্রয়োগের মধ্যে ফারাকটা ওঁর বোঝা উচিত।’’ এর পরেই শ্লেষের সুরে আরও যোগ করেন, ‘‘এ বার থেকে ইউ টার্ন বদলে উদ্ধবজি ঠাকরে টার্ন নামে পরিচিত হবে।’’

নানা টানাপড়েনের পর, নভেম্বরের শেষ দিকে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠিত হয়। তার পর থেকে দুই প্রাক্তন শরিকের মধ্যে ঠোকাঠুকি লেগেই রয়েছে। বুধবার, দেবেন্দ্র ফডণবীসকে খোঁচা দিয়েই উদ্ধব বলেন, ‘‘পওয়ার শিখিয়েছেন কম সংখ্যক বিধায়ক নিয়েও কী ভাবে সরকার গঠন করা যায়।’’ তার পরই কৃষি ঋণ মকুব নিয়ে উদ্ধবকে পাল্টা আক্রমণ করেন চন্দ্রকান্ত।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘হিংসায় নেতৃত্ব দিলে নেতা হওয়া যায় না’, সিএএ বিক্ষোভের সমালোচনায় সেনাপ্রধান

আরও পড়ুন: ‘ঝুট, ঝুট ঝুট’ ব্যুমেরাং! ভিডিয়ো দিয়ে রাহুল বোঝালেন ডিটেনশন ক্যাম্প আছে

অক্টোবর মাসে হাত ধরাধরি করেই নির্বাচনে লড়েছিল শিবসেনা ও বিজেপি। কিন্তু, ভোটের ফল ঘোষণার পর কোন পক্ষের মুখ্যমন্ত্রী হবে তা নিয়ে ফাটল তৈরি হয় দুই শরিকের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে ছেড়ে কংগ্রেস ও এনসিপি-র হাত ধরে সরকার গঠন করে শিবসেনা। আর মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন উদ্ধব ঠাকরে। ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে শনিবার মহারাষ্ট্রে কৃষকদের ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন উদ্ধব। বলা হয়, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কৃষিকাজের জন্য যাঁরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়েছেন, তাঁদেরই এই ছাড় দেওয়া হবে। এ বার সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই নতুন করে সরগরম মরাঠা রাজনীতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement