ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্রের জেরে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মানহানির মামলা খারিজ করল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। সেইসঙ্গে হাই কোর্টের মন্তব্য, সমাজকে নীতিশিক্ষা দেওয়া আদালতের কাজ নয়। ব্যঙ্গচিত্রকে সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বিবেচনা করলে সেই ব্যঙ্গচিত্রের আর ‘প্রাণ’ থাকে না।
২০১৭ সালে তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলির জেলাশাসকের দফতরের সামনে আত্মাহুতি দেন এক পরিবারের চার সদস্য। তাঁদের মধ্যে একটি শিশুও ছিল। অভিযোগ, অতিরিক্ত সুদ দিতে না পারায় মহাজনের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই পরিবারের সদস্যেরা পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসন তাঁদের অভিযোগে কর্ণপাত না করায় এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
এর পরেই ফেসবুকে একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেন ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী বালামুরুগান ওরফে বালা। তাতে দেখানো হয়, একটি শিশুর দেহ পুড়ছে। তিন জন ব্যক্তি চোখ বন্ধ করে নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে। নোটের বান্ডিল দিয়ে তারা গোপনাঙ্গ ঢেকে রেখেছে। ওই তিন ব্যক্তির পাশে লেখা মুখ্যমন্ত্রী, নেল্লাইয়ের জেলাশাসক ও নেল্লাইয়ের পুলিশ কমিশনার। এই ব্যঙ্গচিত্রের জেরে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক পুলিশে অভিযোগ করেন। বালামুরুগানকে তাঁর চেন্নাইয়ের বাড়ি থেকে ধরা হয়। পরে জামিন পান তিনি।