‘বিষ’ মদ মধ্যপ্রদেশে প্রাণ কাড়ল ১১ জনের

জানা গিয়েছে, ‘বিষ’ মদের জেরে মৃত এবং অসুস্থরা মোরেনা জেলার পাহাওয়ালি এবং মানপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই দু’টি গ্রামের দুরত্বও খুব বেশি নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মোরেনা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৫১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

বিষাক্ত মদ খেয়ে ১১ জনের মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলাতে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার এই ঘটনার কথা জানিয়ছেন মোরেনার পুলিশ সুপার অনুরাগ সুজানিয়া।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ‘বিষ’ মদের জেরে মৃত এবং অসুস্থরা মোরেনা জেলার পাহাওয়ালি এবং মানপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই দু’টি গ্রামের দুরত্বও খুব বেশি নয়। একই জায়গায় তৈরি স্থানীয় মদ খেয়ে ওই গ্রামের ব্যক্তিরা অসুস্থ হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান। যদিও কোথায় তৈরি মদ খেয়ে এই পরিণতি তা নিশ্চিতভাবে এখনও জানতে পারেনি প্রশাসন।

সোমবার রাতে মদ খেয়ে ওই ব্যক্তিদের বমি শুরু হয়। তার পর তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার পথেই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি একজন হাসাপাতালে মারা গিয়েছেন। মৃতদের দেহ নিয়ে যাওয়া নিয়েও হাসপাতালে এক প্রস্থ ঝামেলা হয় গ্রামবাসীদের। তারা দেহ ট্রাক্টরে নিয়ে যেতে চাইলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ নিয়ে যেতে বলাতেই ঝামেলা। হাসপাতালে আসা ওই দুই গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় মদ বিক্রির রমরমার কথা।

Advertisement

ঘটনা নিয়ে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, ‘‘ঘটনায় আমি খুবই দুঃখিত। স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিনিয়র অফিসাররা সেখানে গিয়েছেন। ঘটনার তদন্তের জন্য একটি দলও গঠিত হয়েছে। দোষীরা পার পাবেন না।’’ চম্বল রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারাল মনোজ শর্মা বলেছেন, ‘‘কোথা থেকে এই মদ এসেছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। স্থানীয়ভাবে মদ তৈরিও বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: ৩টি কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ, রফার খোঁজে কমিটি সুপ্রিম কোর্টের

এই মৃত্যু ঘটনার পরই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই দুই গ্রামে। পাশাপাশি মদের বিক্রি নিয়েও গ্রামবাসীরা সরব। এলাকায় মদ বিক্রির রমরমা কথা জানিয়েছেন তাঁরা, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। হাসপাতালে দেহ নিতে আসা এক গ্রামবাসী প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘‘ওরা এখন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু কেন ওরা বিক্রি বন্দ করতে পারল না কেন?’’ আবগারি দফতরের এবং পুলিশের একাংশ এর সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement