তিন জনের দেহ রেললাইনে মিলেছে। ছবি: প্রতীকী
সাত বছরের ছেলেকে জেরা করে হেনস্থা করেছিল পুলিশ! তার পরেই মা, বাবা, বড় দিদি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। মধ্যপ্রদেশের টিকমগড়ের ঘটনা।
মৃতদের নাম লক্ষ্মণ নামদেব (৫০), রজনী নামদেব (৪৫), মিনি (১৩)। তিন জনের দেহ রেললাইনে মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণ এবং রজনীর সাত বছরের ছেলেকে চুরি নিয়ে জেরা করেছিল পুলিশ। তাতেই ভেঙে পড়েন তাঁরা। ঘটনায় পুলিশ, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এবং প্রতিবেশী পরিবারের দিকে আঙুল উঠেছে।
সাত বছরের শিশুর বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকা এবং সোনা, রুপোর গয়না চুরির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তার ভিত্তিতে এফআইআরও করেছেন। অভিযোগ করেছিলেন রাকেশ নামে এক ব্যক্তি। তিনি টিকমগড় ডাকঘরে চাকরি করেন। অভিযোগে জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী একটি সভা শুনতে বেরিয়ে ছিলেন। বাড়ি ফাঁকা ছিল। তখনই বল কুড়োতে রাকেশের বাড়ির চত্বরে ঢোকে ওই শিশু। অভিযোগ, এর পর বাড়িতে ঢুকে একটি ঘর থেকে টাকা, গয়না নেয় সে। তার পর নকল গয়না রেখে দিয়ে পালায়।
প্রশ্ন উঠছে, একটি সাত বছরের শিশু কী ভাবে ২০ হাজার টাকা পকেটে ভরে পালাতে পারে? সোনা এবং নকল গলার ফারাকই বা সে কী ভাবে করতে পারে? আরও প্রশ্ন, সাত বছরের শিশুর বিরুদ্ধে পুলিশ কী ভাবে এফআইআর করল? মৃতদের আত্মীয়ের দাবি, টিকমগড় পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন লক্ষ্মণেরা। কিন্তু তার আগেই আত্মহত্যা করেন। এই নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ওই পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। পাশপাশি দোষীদের সাজা চেয়েছেন।