যোগগুরু রামদেবের সংস্থার তৈরি ওষুধ ‘পুত্রজীবক বীজ’-এর নাম না বদলালে তা মধ্যপ্রদেশে বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল প্রশাসন। আয়ুর্বেদিক এই ওযুধ নিয়ে ক’দিন আগেই উত্তাল হয়েছিল সংসদ। জনতা দলের সাংসদ কে সি ত্যাগী দাবি করেন, এক বড়িতে পুত্রসন্তানের আশ্বাস দিচ্ছে এই ওষুধ। একে অবৈজ্ঞানিক ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন বলে কটাক্ষ করেন জয়া বচ্চন, জাভেদ আখতারও। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রে মোদী সরকার ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এ জোর দিচ্ছে। হরিয়ানায় আবার বিজেপি সরকারেরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এ ভাবে লিঙ্গ বৈষম্যে ইন্ধন যোগাচ্ছেন।
সংসদে বিতর্কের পর দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন রামদেব। তাঁর দাবি, দিব্য ফার্মেসির ওই ওষুধ বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। পুত্রসন্তানই হবে, সেই কথা ওষুধের খাপে কোথাও লেখা নেই। রামদেব আরও জানান, একটি ভেষজের বৈজ্ঞানিক নাম ‘পুত্রনজীব রক্সবুর্ঘি ওয়াল’ থেকে পুত্রজীবক বীজের নাম রাখা হয়েছে। আয়ুর্বেদ নিয়ে চর্চা না থাকাতেই লোকজন এ নিয়ে অহেতুক শোরগোল করছে বলেও আক্ষেপ যোগগুরুর।