(বাঁ দিকে) কৃষক মাঙ্গিলাল। বারমেরের জেলাশাসক টিনা দাবি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ, সুবিধা-অসুবিধা জানার জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন রাজস্থানের বারমেরের জেলাশাসক টিনা দাবি। সেখানে গ্রামের লোকজন এসে হাজির হয়েছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অসুবিধার কথা জানাচ্ছিলেন জেলাশাসক টিনাকে। তিনি মনোযোগ দিয়ে সব শুনছিলেন।
ভিড়ের মধ্যে থেকে মাঙ্গিলাল নামে এক কৃষক উঠে দাঁড়ান। জেলাশাসক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কিছু বলার আছে কি না! কোনও রাখঢাক না করেই ওই কৃষক জেলাশাসকের কাছে সটান হেলিকপ্টারের দাবি করেন। কৃষক বলেন, ‘‘ম্যাডাম, বাড়িতে ঢোকার রাস্তা নেই। জমিতেও যেতে পারছি না। আপনি একটা হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করে দিন যাতে বাড়ি এবং জমিতে অবাধে যাতায়াত করতে পারি।’’
কৃষকের মুখে এমন আজব দাবি শুনে থ হয়ে যান টিনা। তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কৃষক আসলে তাঁর সঙ্গে কোনও মজা করছেন, না কি সত্যিই তাঁর কাছে নিজের অভিযোগ তুলে ধরছেন। ভাল করে বিষয়টি বোঝার জন্য কৃষকের কাছে এমন দাবির কারণ জানতে চাইলেন টিনা। কৃষক মাঙ্গিলাল তখন তাঁকে জানান, তাঁর বাড়ি এবং জমিতে যাওয়া রাস্তা দখল হয়ে গিয়েছে। ফলে ঘুরপথে তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে হচ্ছে। জমিতেও সেই একই ভাবে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি আরও খোলসা করে জানতে চান। তখন মাঙ্গিলাল বলেন, ‘‘প্রশাসনের সাহায্যে বাড়ি যাওয়ার রাস্তা পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিবেশী এক শিক্ষক আমার বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় জিরে চাষ করছেন। রাস্তা দখল করে চাষ করছেন তিনি। ফলে বাড়ি এবং আমার চাষের জমিতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ এর পরই মাঙ্গিলালের দাবি, এ রকম অবস্থায় একমাত্র হেলিকপ্টারে যাতায়াত করা ছাড়া উপায় নেই। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানান। বার বার তাঁদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ মাঙ্গিলালের। এখন এ বিষয়ে জেলাশাসক টিনা কী পদক্ষেপ করেন, তারই অপেক্ষায় মাঙ্গিলাল।