ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউযের পারা এলাকায়। যেখানে হিন্দু পাত্রীর সঙ্গে মুসলিম পাত্রের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। প্রতীকী ছবি
আইন চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে রুখতে একেবারে বিবাহ বাসরে উপস্থিত হল যোগী রাজ্যের পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউযের পারা এলাকায়। যেখানে হিন্দু পাত্রীর সঙ্গে মুসলিম পাত্রের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বুধবার বিয়ের সব আয়োজনও সারা হয়েছিল। কিন্তু আচার অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই বিবাহ বাসরে উপস্থিত হয় লখনউ-এর পুলিশ।
বিবাহের অনুষ্ঠানে পৌঁছে পুলিশ উত্তরপ্রদেশে পাশ হওয়া নতুন আইন সম্পর্কে সকলকে জানিয়ে বলে, দু’পক্ষকেই থানায় যেতে হবে। এর পর পাত্র এবং কন্যা পক্ষ থানায় উপস্থিত হলে বলা হয়, নতুন আইন অনুসারে লখনউ জেলা শাসকের থেকে অনুমতি নেওয়ার পরই বিয়ের অনুষ্ঠান হতে পারে।
লখনউয়ের পুলিশ আধিকারিক সুরেশ চন্দ্র রাওয়াত বলেছেন, ‘‘ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখে আমরা খবর পাই, হিন্দু এক পাত্রীর সঙ্গে মুসলিম পাত্রের বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে বিয়েবাড়িতে যাওয়া হয়। দু’পক্ষকে থানায় ডেকে নতুন আইনের নথি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে দু’পক্ষই লিখিত সম্মতি জানায় থানায়। তারপর আইন অনুসারে তাঁরা স্থানীয় জেলাশাসকের কাছে আবেদন করছেন। তিনি অনুমতি দিলে তবেই এই বিয়ে হবে।’’
আরও পড়ুন: কৃষি আইন সংশোধনের ইঙ্গিত কেন্দ্রের, কৃষকেরা চান প্রত্যাহার
পাত্র বা পাত্রীর বাড়ির লোক সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে না চাইলেও সূত্রের খবর দুই পরিবারের অনুমতিতেই এই বিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। ধর্মান্তরণের কোনও বিষয় এর সঙ্গে জড়িয়ে নেই। সমস্ত আইনি জটিলতা কাটিয়ে দুই পরিবারই চায় বিয়ের অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যেতে।
আরও পড়ুন: দেশে মোট সুস্থ ৯০ লক্ষ কোভিড রোগী, দৈনিক সংক্রমণ বন্দি ৩৫-৩৬ হাজারে