ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে সপরিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। রবিবার একটি বুথে। পিটিআই
দেশের রাজধানী দিল্লিরই অংশ। কিন্তু উত্তর-পশ্চিম দিল্লির কাটেওয়াড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার প্রধান সড়ক বহু বছর ধরে মেরামত হয়নি। পাকা নর্দমা নেই। সারা বছরই রাস্তায় জল জমে থাকে। উন্নয়ন পৌঁছয় না। এই অবহেলার অভিযোগে আজ কাটেওয়াড়ার বাসিন্দারা দিল্লি পুরসভার ভোট বয়কট করলেন।
বিজেপি বনাম আম আদমি পার্টির দ্বৈরথের ময়দান দিল্লি পুরসভার নির্বাচনে রবিবার বিকেলে ভোট শেষ পর্যন্ত হিসেবে প্রায় ৫০% ভোট পড়ল। দু’বছর আগেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৬২% ভোট পড়েছিল। পাঁচ বছর আগের পুরনির্বাচনে ভোট পড়েছিল প্রায় ৫৪%। হিমাচলের ভোট, তার পরে গুজরাতের প্রথম দফার ভোটেও কম ভোট পড়ায় নির্বাচন কমিশন শহরাঞ্চলে কম ভোট পড়ছে বলে হতাশা জানিয়েছিল। দিল্লির পুরভোটেও শহরাঞ্চলের, বিশেষ করে উচ্চবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তদের মধ্যে ভোট দেওয়ায় অনীহা দেখা গেল।
দিল্লি বিধানসভায় দু’বার জিতে সরকার গড়লেও আম আদমি পার্টি এখনও দিল্লি পুরসভা দখল করতে পারেনি। গত ১৫ বছর দিল্লির তিনটি পুরসভা বিজেপির দখলে ছিল। এ বার তিনটি পুরসভা জুড়ে ফের একটিই পুরসভা তৈরি হয়েছে। কাটেওয়াড়া এত দিন উত্তর দিল্লি পুরসভার অন্তর্গত ছিল। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের নেতাদের স্পষ্ট বক্তব্য, দিল্লির সরকারের পাশাপাশি তাঁদের হাতে পুরসভা না এলে কাটেওয়াড়ার মতো এলাকায় উন্নয়ন পৌঁছনো সম্ভব হবে না। উল্টো দিকে ২০১৯-এ দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতায় ফেরার পরেও দিল্লি বিধানসভায় হেরে যাওয়া বিজেপি অন্তত দিল্লি পুরসভা দখলে রাখতে মরিয়া।
বিজেপি-আপ-এর লড়াইয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধরি আজ ভোট দিতে গিয়ে দেখেছেন, তাঁর স্ত্রী-র নাম থাকলেও তাঁর নাম ভোটার তালিকায় নেই। বিজেপি, আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোয় জবাব মিলেছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনই ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। ভোট হয়েছে তার ভিত্তিতেই।