কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের টুইটে সাইক্লোনের উপগ্রহ চিত্র।
দিন দশেক আগেই আমপানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা। ফের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। এ বার দেশের পশ্চিম উপকূলে। গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দিল মৌসম ভবন। রবিবার দেওয়া পূর্বাভাসে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব সাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত শক্তিশালী হচ্ছে। সেটি গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে দুই রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় সাম্প্রতিক অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডব থেকে শিক্ষা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আগাম প্রস্তুতিও। ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যের মৎস্যজীবীদের আগামী ৫ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
মৌসম ভবনের সাইক্লোন বিভাগের অধিকর্তা সুনীতা দেবী রবিবার জানিয়েছেন, আরব সাগর ও লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তার পর আরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি ‘সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর উত্তরের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ৩ জুন সেটি আছড়ে পড়তে পারে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের উপকূলে।’’
আরও পডু়ন: কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় উত্তাল আমেরিকা, আগুন, লাঠি, রাবার বুলেট, ১৩ শহরে কার্ফু
আরও পড়ুন: নেপথ্যে চিনা মদত? ভারতীয় ভূখণ্ড জুড়ে নিয়েই নেপাল সংসদে পেশ নয়া মানচিত্র বিল
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুই রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে মৌসম ভবন। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় ২ থেকে ৪ জুন, উত্তর উপকূলে ২ থেকে ৩ জুন এবং গুজরাত, দমন-দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলিতে ৩ থেকে ৫ জুন ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হবে। এর ফলে সমুদ্র উত্তাল হতে পারে।