মহিলা ও তাঁর পুত্রকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিককে। প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকা ও তাঁর পুত্রকে খুনের অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের গদগ জেলার হাদলি গ্রামে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গীতা বরাকরা নামে এক মহিলা গ্রামের একটি স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত তাঁর পুত্র ভরত। মুথাপ্পা নামে স্কুলেরই এক শিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। ওই মহিলার স্বামী প্রতিবন্ধী ও শয্যাশায়ী।
সম্প্রতি স্কুলের শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়ে অন্য এক শিক্ষকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন ওই মহিলা। যা জানার পর রেগে গিয়েছিলেন মুথাপ্পা। সেই রাগের বশেই প্রথমে স্কুলের বারান্দা থেকে শিক্ষিকার পুত্রকে ঠেলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে মুথাপ্পার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পর শিক্ষিকার উপর হামলা চালান বলে অভিযোগ মুথাপ্পার বিরুদ্ধে। ঘটনার ২ দিন পর মৃত্যু হয় ওই শিক্ষিকার। স্কুলের মধ্যে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সোমবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
এই ঘটনার পর পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক মুথাপ্পা। তাঁকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, নিহত শিক্ষিকার এক ১২ বছরের কন্যাও রয়েছে। তাকে তাঁর ঠাকুমার কাছে রাখা হয়েছে।