মুকেশ অম্বানী। বিশ্বের অন্যতম ধনী শিল্পপতিদের এক জন। তাঁর স্ত্রী নীতা অম্বানীও উদ্যোগপতি। নীতা আর মুকেশের প্রেমের গল্পটা কিন্তু একেবারে সিনেমার মতোই। কী ভাবে পরস্পরের প্রেমে পড়েছিলেন তাঁরা?
নবরাত্রির অনুষ্ঠানে নীতার ভরতনাট্যমের অনুষ্ঠান দেখে তাঁকে ছেলের জন্য পছন্দ করেই ফেলেছিলেন ধীরুভাই অম্বানী। কোকিলাবেনেরও পছন্দ হয়ে যায় নীতাকে।
নীতা তখন ভরতনাট্যমে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। নীতা শুধু নাচ নিয়েই থাকতে চেয়েছিলেন। আর কোনও দিকে তাঁর মন ছিল না।
সিমি গ্রেওয়ালের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মুকেশ বলেছিলেন, ধীরুভাই ফোন করেছিলেন নীতার বাড়িতে। প্রথমে ফোন পেয়ে বিশ্বাস করেননি নীতা। ভেবেছিলেন, ফোনে কেউ ওই মাপের শিল্পপতির নাম নিয়ে ঠাট্টা করছে। পরে বোঝেন সত্যিই ধীরুভাই ফোন করেছেন।
পরে ধীরুভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন নীতা। তিনিই আলাপ করিয়ে দেন ছেলের সঙ্গে।
নীতা যে নাচ অসম্ভব ভালবাসেন, তা জানতেন অম্বানী পরিবারের সদস্যরা, এতে কোনওদিনই তাঁরা বাধা দেবেন না বলে জানান। দুই পরিবারের মধ্যে কথাও হয়।
সেই সময় মুকেশ ও নীতা দু’জনেরই কর্মব্যস্ত জীবন ছিল। বিয়ের আগেও খুব বেশি যে তাঁদের দেখা হয়েছে, এমনটা নয়, তবে মুকেশের ব্যবহার ভাল লাগছিল নীতার।
নীতার জন্য পাবলিক বাসে চড়ে মুকেশ যাতায়াতও করেছেন সেই সময়। নীতা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, মুকেশ মানুষটা ভালই।
মুকেশ কিন্তু ছয়-সাত দিন দেখা করার পরই নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, নীতা তাঁকে বিয়ে করতে রাজি কি না।
নীতার মুখে ‘হ্যাঁ’ না শুনে গাড়িই চালাবেন না, স্পষ্ট বলেছিলেন মুকেশ।
মাঝ রাস্তায় মুকেশের গাড়ির পিছনে বেশ কয়েকটি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। নীতা প্রস্তাবে সাড়া দিলে তবেই ফের গাড়ি চালানো শুরু করেন মুকেশ।
১৯৮৫ সালের ৮ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েন নীতা ও মুকেশ। বিয়ের পর মুকেশ আরও বেশি কাজে মন দিতে পেরেছেন, জানান এমনটাই। ঈশা, অনন্ত, আকাশ তিন সন্তানকে নিয়ে সুখেই রয়েছেন দম্পতি।