নরেন্দ্র মোদি। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি খারিজ করে দিল লোকপাল।
লোকসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী প্রশ্ন তুলেছিলেন, নির্বাচন এগিয়ে আসতেই রাহুল গান্ধী ‘অম্বানী-আদানি’-দের বিরুদ্ধে মুখ বন্ধ করে ফেলেছেন কেন? কংগ্রেস কি অম্বানী-আদানিদের থেকে টেম্পো ভর্তি করে কালো টাকার ঝুলি পেয়েছে? নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্য নিয়েই লোকপালের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল।
ওই অভিযোগে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অম্বানী, আদানিদের কালো টাকার খবর ও তার লেনদেনের খবর থাকা সত্ত্বেও তিনি এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধেই তদন্ত হোক। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধী, শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী ও গৌতম আদানিদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি তোলা হয়।
দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্থা লোকপালের হাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী, ক্যাবিনেট মন্ত্রী, সাংসদ ও শীর্ষ স্তরের আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের ক্ষমতা রয়েছে। লোকপালের প্রধান এখন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ এম খানউইলকর। লোকপাল ওই অভিযোগের রিপোর্টে জানিয়েছে, ‘এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি। কারণ প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা ভোটের প্রচারের অঙ্গ, অনুমানের ভিত্তিতে মন্তব্য বা কাল্পনিক প্রশ্ন। কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে, যদি এমন হত আন্দাজ করে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে ভোটের প্রচারে প্রশ্ন তোলা।’ লোকপাল নিজের রায়ে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ এড়িয়ে গিয়েছে।