—প্রতীকী ছবি।
দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরের একটি বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে আজ শোরগোল পড়ে যায়। তা থেকেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয় সমাজমাধ্যমে। চর্চা চলতে থাকে, ওই বিজ্ঞপ্তিতে থাকা ১৬ এপ্রিল তারিখেই কি লোকসভা নির্বাচন! যদিও সন্ধ্যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য ওই তারিখটা ধরে এগোনো হচ্ছে।
যে বিজ্ঞপ্তি ঘিরে আজ সারা দিন সরগরম রইল নেট-পাড়া, তা দিল্লির ১১ জন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের উদ্দেশে জারি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোট সংক্রান্ত যে সূচি দিয়েছে, তা মেনে চলাই এই বিজ্ঞপ্তির মূল উদ্দেশ্য। তাতে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচন, ২০২৪-র জন্য সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে কমিশন ১৬.০৪.২০২৪-র কথা বলেছে। এই দিনটি ধরেই ‘ইলেকশন প্ল্যানারে’ নির্বাচন শুরু এবং শেষের তারিখের পরিকল্পনা করতে হবে’। সহকারী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও উল্লেখ, ওই তারিখটি মাথায় রেখেই ‘ইলেকশন প্ল্যানারে’ বর্ণিত নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম শুরু ও শেষ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, একটি রিপোর্ট, দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে পাঠানোর কথা বলা হয়।
লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ এক দিনে হবে না। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল। সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয়ে ১৯ মে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়। ফল প্রকাশ হয়েছিল ২৩ মে। ফলে আগামী ১৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শুরুর তারিখ, শেষের তারিখ, না মাঝের তারিখ, তা-ও স্পষ্ট নয়। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে থাকা ‘১৬ এপ্রিল’-এর মধ্যে বাস্তবতা খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
গত ১৯ জানুয়ারি জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে দিল্লির সহকারী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক লিখেছেন, তিনি সকলকে ‘ইলেকশন প্ল্যানারে’ উল্লিখিত প্রতিটি নির্বাচনী কার্যকলাপ শুরু ও সম্পূর্ণ করার জন্য প্রদত্ত সময়সীমা মেনে চলতে এবং সিওই শাখা, সিইওর অফিস, দিল্লিতে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে চান।
বিষয়টি নিয়ে জোরালো চর্চা শুরু হতেই বিবৃতি দিয়ে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তরফে জানানো হয়, এটি সম্ভাব্য দিন, তারিখটি এখনও চূড়ান্ত নয়। নির্বাচনী আধিকারিকদের ওই দিনটির কথা এই কারণেই জানানো হয়েছে, যাতে তাঁরা ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্মের পরিকল্পনা সেরে ফেলতে পারেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচন জুনের আগে শেষ করতে হবে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মধ্যে ভোটগ্রহণ অস্বাভাবিক নয়।’’