যোগী আদিত্যনাথ। ছবি: এএফপি
বিজেপি কর্মীদের নিন্দা করেছিলেন, আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন, এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বুথফেরত সমীক্ষায় বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত পাওয়ার পর পরদিনই মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুধু মন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভর নন, তাঁর দল সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির(এসবিএসপি)অন্য সদস্যদেরও বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসবিএসপি-র সুপ্রিমো ওমপ্রকাশ রাজভরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তিনি বিজেপি কর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এর পরই মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। অনগ্রসর শ্রেণির উন্নতি ও প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংক্রান্ত মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন ওমপ্রকাশ। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, তাঁকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুধু ওমপ্রকাশই নন, তাঁর দলের অন্য সদস্যদেরও নানা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওমপ্রকাশের বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপি বিধায়ক অনিল রাজভরকে। অনিল বিজেপির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন বিজেপি ও যোগী সরকারের।
আরও পড়ুন: এসইউসিকে ভোট দিতে চাওয়ার ‘অপরাধে’ বধূ খুনের অভিযোগ মথুরাপুরে
মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে ওমপ্রকাশ বলেন, ‘‘বিজেপি আমাকে ঠকিয়েছে, আমার দলের সদস্যদেরও। আমরা কোথায় যাব এখন?’’
আরও পড়ুন: কলকাতায় আসছেন চন্দ্রবাবু, বিকেলেই মমতার সঙ্গে বৈঠক
অন্যদিকে রাজ্যে বিজেপির অপর নেতা, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধি কেশবপ্রসাদ মৌর্য বলেন, ‘‘অনগ্রসর শ্রেণি নন, ওমপ্রকাশ নিজের পরিবারের নেতা। বিজেপির জন্যই তিনি মন্ত্রী হতে পেরেছেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অন্যদিকে, ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে ১৮মে অভিযোগ দায়ের করা হয়, নিজের দলের সমর্থকদের তিনি বলেছেন, জোটসঙ্গী বিজেপি সমর্থকরা কোনও কুৎসা রটানোর চেষ্টা করলে যেন তাদের ‘জুতোপেটা’ করতে। এর পরই তৈরি হয় বিতর্ক।যদিও ৬মে, এসবিএসপি সুপ্রিমো দাবি করেছিলেন, তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, কিন্তু সরকার তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে কিছু জানায়নি। এর পরই ওমপ্রকাশকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করা হয়।