কংগ্রেসের ইস্তাহারের প্রচ্ছদে আছে যে ছবি।
কংগ্রেসের যে ইস্তাহার নিয়ে এত তোলপাড়, খোদ নরেন্দ্র মোদীও যার মোকাবিলায় নেমেছেন, সেই বইয়ের মলাটই পছন্দ হয়নি সনিয়া গাঁধীর।
মালদহের চাঁচলে রাহুল গাঁধীর জনসভায় উপচে পড়া ভিড়ের ছবি কংগ্রেসের ইস্তাহারের প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছে। উপরে লেখা ‘হম নিভায়েঙ্গে’। আর নীচে রাহুল গাঁধীর একটি ছোট ছবি। তার পাশে কংগ্রেসের প্রতীক চিহ্ন ‘হাত’। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের মতে, সনিয়া মনে করেন— মলাটে ভিড়ের ছবিতে রং তেমন ফুটে ওঠেনি। বরং ইস্তাহারের নয় নম্বর পাতায় গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে রাহুলের ছবিটি অনেক বেশি রঙিন। সেটিই মলাটে নেওয়া উচিত ছিল। দলীয় সূত্রের এমনটিও দাবি, মহাত্মা গাঁধী বা জওহরলাল নেহরুর মতো কিংবদন্তি নেতাদের ছবি না থাকাতেও আপত্তি রয়েছে সনিয়ার।
গত কাল এআইসিসি দফতরে ইস্তাহার প্রকাশের মঞ্চে ওঠার ঠিক আগে সনিয়াকে মেজাজ হারাতে দেখেছেন অনেকে। এমনকি নিজের আপত্তির কথা দলের গবেষণা বিভাগের প্রধান রাজীব গৌড়াকে জানাতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীকে। সনিয়ার সঙ্গে ইস্তাহার নিয়ে আলোচনার কথা স্বীকার করেন গৌড়া। কিন্তু তাঁর মতে, ‘‘বিকল্প অন্য কোনও নেতার ছবি দেওয়ার প্রস্তাব সনিয়া গাঁধী দেননি। ইস্তাহারে নেতাদের মুখ থেকে সাধারণ মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। এমনকি স্যাম পিত্রোদার সঙ্গেও কথা হয়েছে। অতীতের ইস্তাহার থেকে এ বারের চরিত্রটি আলাদা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ইস্তাহারে সনিয়া চেয়েছিলেন রাহুলের এই ছবি।
তবে কংগ্রেস নেতাদের মতে, ইস্তাহারের নয় নম্বর পাতায় গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে রাহুলের ছবি নিঃসন্দেহে রঙিন। কিন্তু সে মহিলাদের ঘোমটা দেওয়া রয়েছে। কংগ্রেস একটি আধুনিক ইস্তাহার তৈরি করতে চেয়েছে। সে কারণে দলের আলোচনায় অনেকে সে ছবিটি মলাটে আনতে আপত্তি তোলেন। কিন্তু সনিয়া গাঁধী এতটাই রেগে যান, যে মঞ্চে একটি কথাও বলেননি। এক বার রাহুল গাঁধী নিজে সাংবাদিকদের বলেন, মঞ্চে বাকিদেরও প্রশ্ন করতে। তার পর সনিয়া গাঁধীকেও একটি প্রশ্ন করা হয়। রাহুল মাইক্রোফোনটিও সনিয়ার দিকে এগিয়ে দেন। কিন্তু মাইক্রোফোন ফিরিয়ে দিয়ে সনিয়া বলেন, ‘‘আমি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না।’’