—ফাইল চিত্র।
আসন সমঝোতার ঘোষণা হয়েছে আগেই। ভিতরে যতই দর কষাকষি চলুক, বিহারে আসন রফার পর্বটি মসৃণ ভাবে সেরে ফেলল এনডিএ। রাজ্যে রাজ্যের ৪০টির মধ্যে কোন আসনে কোন শরিক লড়বে, এ বারে তার ঘোষণাও করে দিল এনডিএ। স্থির হয়েছে, জেডিইউ এবং বিজেপি ১৭টি করে এবং লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) ৬টি আসনে লড়বে। ২০১৪ সালে নিজেদের জেতা ২২টি আসনের মধ্যে ৬টি আসন শরিকদের ছাড়ছে বিজেপি। দু’এক দিনের মধ্যেই নিজেদের কোটার সমস্ত আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে জেডিইউ। এলজেপি-ও শীঘ্রই ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে কয়েক দফায়। সকলে প্রার্থী ঘোষণা করার পরেই যৌথ প্রচার শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে রামবিলাসের এলজেপি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএলএস)-এর সঙ্গে জোট করে বিহারে লড়েছিল বিজেপি। ৩০টি আসনে লড়ে মোদী হাওয়ায় বিজেপি জেতে ২২টিতে। এলজেপি ৭টি আসনে লড়ে জিতেছিল ৬টিতে। আরএলএস ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনটেতেই জিতেছিল। সে বার একলা লড়েছিল নীতীশ কুমারের দল। দু’টি আসন জিতেছিল তাঁরা। ২০১৭ সালে এনডিএ-তে ফিরে আসে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। গত বছর নভেম্বরে দুই দল সমসংখ্যক আসনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এর পরেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায় উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি।
সম সংখ্যক আসন নিয়ে জট কাটে অবশ্য দীর্ঘদিন পরে। ১৭টি করে আসনে উভয় দল লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এলজেপি খুশি ছিল না। রামবিলাস পাশোয়ান নির্বাচনে লড়বেন না বলে জানিয়েছিলেন। তাঁকে রাজ্যসভা আসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শান্ত করে বিজেপি। তিন দলের নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েক বার আলোচনার পরে আজ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। বিজেপি তাদের জেতা বাল্মীকিনগর, ঝঞ্ঝারপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, গয়া এবং নওয়াদা শরিকদের ছাড়তে রাজি হয়েছে। এ ছাড়া উপেন্দ্র কুশওয়াহার দলের হাতে থাকা কারাকাট, সীতামঢ়ী এবং জহানাবাদ জেডিইউকে দিয়েছে বিজেপি। এলজেপি মুঙ্গের কেন্দ্রটি জেডিইউ-কে ছেড়েছে, বদলে বিজেপির থেকে নওয়াদা কেন্দ্রটি পেয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেডিইউ রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘সকলের সঙ্গে কথা বলেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আসন ভাগ নিয়ে সকলেই খুব খুশি।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিত্যানন্দ রায় বলেন, ‘‘আমরা একত্রে ৪০টি আসনে লড়ছি। কেন্দ্রে মজবুত এনডিএ সরকার তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।’’