তুরা দখলে সাংমাদের বাজি সেই আগাথাই

সাংমা পরিবার নিশ্চিত আগাথা তুরা ধরে রাখতে পারবেন।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

বাবা পূর্ণ সাংমা কখনও ভোটে হারেননি। সাত বারের সাংসদ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে আগাথা সাংমা নিজেও ইতিমধ্যেই দেশের সর্ব কনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে ফেলেছেন। মেঘালয়ের তুরা লোকসভা কেন্দ্রটি ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাংমা পরিবারের প্রায় একচ্ছত্র দখলে আছে। সেই আসনেই এনপিপির হয়ে ফের আগাথার লড়তে নামা প্রায় পাকা।

Advertisement

২০০৮ সালে বাবা পূর্ণ সাংমা রাজ্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় উপ-নির্বাচনে জিতে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন আগাথা। পরের বছর লোকসভা নির্বাচনে জিতে ২৯ বছর বয়সেই ইউপিএ আমলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁর আসনে দাদা কনরাড সাংমা দাঁড়িয়ে সাংসদ হন। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে আগাথা দক্ষিণ তুরা থেকে জেতেন। কিন্তু এনপিপির নেতৃত্বে মেঘালয়ে এমডিএ সরকার গড়লে এনপিপি সভাপতি কনরাড মুখ্যমন্ত্রী হন। কনরাডকে বিধায়ক হিসেবে জেতার জায়গা দিতে আগাথা নিজের আসন দাদাকে ছাড়েন। কনরাড সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে বিধায়ক হন। তাই তুরা আসন এখন খালি। সাংমা পরিবার নিশ্চিত আগাথা তুরা ধরে রাখতে পারবেন।

তুরা লোকসভা কেন্দ্রের ২৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এনপিপির হাতে আছে ১২টি আসন। কংগ্রেসের হাতে আছে ৯টি বিধানসভা কেন্দ্র। সেখানে আগাথার বিরুদ্ধে লড়তে কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় আছেন বর্তমান বিধায়ক জেনিথ সাংমা ও উইনারসন সাংমা। দৌড়ে আছেন প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবোরা সি মারাক ও মেঘালয় প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি রিচার্ড এম মারাকও।

Advertisement

অন্য দিকে, শিলং ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস বর্তমান সাংসদ ভিনসেন্ট পালার উপরেই আস্থা রাখছে। গত দু’বারের সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পালার পাশাপাশি এইচডিআর লিংডো ও কেনেডি সি খিরিয়েমের নামও বিবেচনাধীন। কিন্তু দু’জনই বিধানসভায় হেরেছেন। তাই পালার পাল্লা ভারি।
গত বার মোদী ঝড়ের মধ্যেও সাতজন প্রার্থীকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন পালা। কিন্তু এবার লড়াই কঠিন। শিলং লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ৩৬টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে কংগ্রেসের হাতে
আছে ১০টি আসন। উল্টোদিকে এনপিপির হাতে ৮টি। এমডিএ জোটের শরিক ইউডিপি, পিডিএফ, বিজেপি ও এইচএসপিডিপির হাতে আছে ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্র। তাই কংগ্রেস প্রার্থীর লড়াই কঠিন হবে বলেই পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement