গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
ভোটের মুখে ফের ধর্মকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর তার জন্য টার্গেট করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে। বললেন, ‘‘গুজরাতে সোমনাথ মন্দিরে গিয়ে পুরোহিত ধমকেছিলেন রাহুল গাঁধীকে। মন্দিরে কী ভাবে বসতে হয়, তা না জানার জন্য।’’ ঘটনাটা ২০১৭ সালের নভেম্বরের। গুজরাত বিধানসভা ভোটের ঠিক এক মাস আগে।
কংগ্রেসের তরফে অবশ্য যোগীর এই উস্কানিমূলক মন্তব্যকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটে বর্ণহিন্দু ভোট বিভাজন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন যোগী। তাই তাঁর এই মন্তব্য।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে মুসলিম-তোষণের অভিযোগ বরাবরই করে এসেছে বিজেপি, যোগীর মন্তব্যে তারও ইঙ্গিত মিলেছে। আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘‘উনি (রাহুল) সোমনাথ মন্দিরে ঢুকে প্রার্থনা করার জন্য নমাজ পাঠের মতো হাঁটু মুড়ে বসেছিলেন। তখনই সোমনাথ মন্দিরের পুরোহিত ওঁকে বকুনি দেন। বলেন, মন্দিরে ওই ভাবে বসা যায় না। এটা মন্দির। এখানে পা ভাঁজ করে আসনে বসতে হয়।’’
আরও পড়ুন- দেশের হাতে এখন অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন- যোগীর দাবি ঘিরে উঠছে প্রশ্ন, কটাক্ষও
আদিত্যনাথ রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘নকল মে ভি আকল চাহিয়ে’’। কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী শুক্রবার দুপুরে যাচ্ছেন মন্দির শহর অযোধ্যায়। তাকেও কটাক্ষ করেছেন আদিত্যনাথ। বলেছেন, ‘‘ভোট কাছে এসে না পড়লে কংগ্রেস ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার সময়ই পায় না!”
২০১৭-র নভেম্বরে রাহুলের সোমনাথ মন্দির দর্শনের সময়েই হয় বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ ওঠে, রাহুল নাকি ‘অ হিন্দু' হিসাবেই মন্দিরে ভক্তদের নাম লেখার খাতায় তাঁর নাম সই করেছিলেন। কংগ্রেস অভিযোগ করে যে, বিজেপি ইচ্ছে করে অ-হিন্দুদের নাম লেখার খাতায় রাহুলের নাম লেখায়। যাঁরা হিন্দু নন, তাঁদের ওই মন্দিরে ঢুকতে বিশেষ অনুমতি লাগে।