রাহুল গাঁধী ও চন্দ্রবাবু নায়ডু
জানলার ধারে বসে রাহুল গাঁধী। পাশে চন্দ্রবাবু নায়ডু। বাস ছুটছে হায়দরাবাদের পথে।
অতীত ভুলে রাহুলকে বিরোধী জোটের নেতা কার্যত ঘোষণাই করে ফেলেছেন চন্দ্রবাবু। আজ হায়দরাবাদে নতুন ‘ইতিহাস’ রচনা করে দু’জনে একসঙ্গে সভা করলেন, পরে রোড-শো। দু’জনেই আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদীকে। আর তাঁর ‘বি-টিম’ বলে পরিচিত কে চন্দ্রশেখর রাও আর আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে।
যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে তেলঙ্গানাতেই সরাসরি বপন হচ্ছে লোকসভার বিরোধী জোটের বীজ। কংগ্রেস, তেলুগু দেশমের সঙ্গে সিপিআই-এর মতো বাম দলও জোট করে লড়ছে। রাহুল ও চন্দ্রবাবুর লক্ষ্য, নিচুতলা পর্যন্ত জোটের বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
রাখঢাক না করেই রাহুল বললেন, ‘‘বুথে বুথে হারাতে হবে বিজেপির ‘বি-টিম’কে। চন্দ্রশেখর আর এআইএমআইএমের একটাই লক্ষ্য, নরেন্দ্র মোদীই যাতে প্রধানমন্ত্রী থাকেন। সে কারণেই রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে চুপ থাকেন ওঁরা। টিআরএস আসলে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সঙ্ঘপরিবার।’’ রাতে আরও একটি জনসভার পরে রাহুল বলেন, ‘‘চন্দ্রবাবুর সঙ্গে আমার ভাবনার অনেক মিল আছে। আমরা একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারব।’’
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী রাজ্যেও ভোটে লড়বে তৃণমূল
টিআরএস নেতা চন্দ্রশেখর রাও অবশ্য কয়েক মাস আগে বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী জোট করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তখন থেকেই বিরোধী নেতারা বলে আসছেন, আসলে মোদীর হাতেই তামাক খাচ্ছেন রাও, ওয়াইসি।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর টানলেন ইমরান, কথায় রাজি নয় ভারত
বিজেপির নেতা জি ভি এল নরসিংহ রাওয়ের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ইন্দিরা গাঁধীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন এনটিআর আর এখন চন্দ্রবাবু রাহুলের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছেন।’’
কিন্তু সে সবের পরোয়া না করে আজ যৌথ সভাকে ‘ঐতিহাসিক’ অ্যাখ্যা দেন রাহুল। চন্দ্রবাবুও বলেন, ইতিহাসের প্রয়োজনেই অ-বিজেপি জোট দরকার। যে বিজেপি ইডি, আয়কর, সিবিআই, আরবিআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করছে। সভায় হাজির ছিলেন চারণকবি গদরও।