প্রিয়ঙ্কার উপরই ভরসা কংগ্রেস কর্মীদের। —ফাইল চিত্র।
দুপুরের পর থেকে বারাণসীতে ‘নমোৎসব’ পালন করলেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই অবশ্য কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন না প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। লড়বেন উত্তরপ্রদেশের পাঁচ বারের বিধায়ক অজয় রাই।
সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরে প্রিয়ঙ্কা নিজেই বারাণসী থেকে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন একাধিক বার। অন্তত তিন বার প্রকাশ্যে বলেছেন, “কংগ্রেস সভাপতি চাইলে আমি বারাণসী থেকে লড়তে আগ্রহী।” তার পরেও তাঁকে প্রার্থী করা হল না কেন? গত কালই কংগ্রেসের শীর্ষ এক নেতা জানিয়েছিলেন, রাহুল গাঁধী রাজি নন। খুব একটা উৎসাহী নন সনিয়াও। আর এক নেতা আজ জানান, সনিয়া ও রাহুল এই বিষয়ে দলের প্রবীণ নেতাদের মত জানতে চেয়েছিলেন। এমনকি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতও জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের অধিকাংশের মত ছিল, গাঁধী পরিবারের কেউ আজ পর্যন্ত হারার জন্য কোনও ভোটে লড়েননি।
তা ছাড়া, উত্তরপ্রদেশে পরের বিধানসভা ভোটে প্রিয়ঙ্কাকে দলের মুখ করে লড়তে চান রাহুল। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত হলেও কার্যত গোটা রাজ্য এখন সামলাতে হচ্ছে প্রিয়ঙ্কাকে। কারণ, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মধ্যপ্রদেশে ভোটে লড়ছেন। শুধু তাই নয়, প্রিয়ঙ্কার ডাক আসছে দেশের অন্য প্রান্ত থেকেও। ফলে একটি আসনে প্রিয়ঙ্কাকে বেঁধে রাখা ঠিক নয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী না-হওয়ায় বিজেপি বেজায় খুশি। মোদীর ভয়ে গাঁধী ভাই-বোন পালালেন এমন কথা বলার সুযোগ পেয়ে গেল তারা। অরুণ জেটলি কটাক্ষ করে টুইট করেছেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কা মিথ ভেঙে খান খান। বন্ধ মুঠঠি লাখ কি, খুল গই তো খাক কি।’’ এই প্রচারের জবাব এখন খুঁজতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। কেন নন প্রিয়ঙ্কা, এই প্রশ্নের আজ এড়িয়ে গিয়েছেন রাহুল। দলের নেতা রাগিণী নাইক বলেন, “কংগ্রেস কখনওই বলেনি প্রিয়ঙ্কা বারাণসী থেকে লড়বেন।” কংগ্রেসের একটি অংশ অবশ্য এখনও রাহুলকে চাপ দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, গত বার অরবিন্দ কেজরীবাল হারবেন জেনেও সাহস দেখিয়েছিলেন। মোদী পেয়েছিলেন ৬ লক্ষের কাছাকাছি ভোট। আর কেজরীবাল ২ লক্ষ। কংগ্রেসেরও সেই সাহস দেখানো উচিত।
বারাণসীতে যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, সেই অজয় রাই ফোনে বললেন, “আমরা বলেছিলাম, প্রিয়ঙ্কাকে প্রার্থী করুন। গাঁধী পরিবারে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। দল আমাকে প্রার্থী করেছে, আমরা লড়ব।”