প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন। ছবি: এপি।
পাঁচ বছর আগে তিনি নিজেকে ‘গরিব চা-ওয়ালা’ বলতেন। বলতেন তাঁর কিছুই নেই, ফকির তিনি। তবে ২০১৪-য় বারাণসীতে মনোনয়নের সঙ্গে পেশ করা হলফনামায় নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৬৫ কোটি টাকা বলে জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। দাবি করেছিলেন ১৯৮৩-তে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ‘এনটায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্স’ নামে একটি বিষয়ে প্রথম বিভাগে এমএ পাশ করেছিলেন, যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
তার পাঁচ বছর পরে শুক্রবার সেই বারাণসী থেকে দ্বিতীয় বার মনোনয়ন পেশের সময়ে এ বার তিনি চা-ওয়ালা থেকে ‘চৌকিদার’ হয়েছেন। পেশ করা হলফনামায় দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সম্পত্তির পরিমাণ ৫২ শতাংশ বেড়ে ২.৫১ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ৫১ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি তিন গুণ বেড়ে হয়েছে ১.৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ১.২৭ কোটি টাকা। আর গাঁধীনগরের সেক্টর-১-এ মোদী যে জমি কিনেছিলেন, তাঁর বর্তমান বাজার দর ১.১ কোটি টাকা বলে দাবি করা হয়েছে। ২০০২-এ এই জমি তিনি অস্বাভাবিক কম, মাত্র ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৮৮ টাকায় কিনেছিলেন।
কোনও দিন চাকরি বা ব্যবসা করেননি নরেন্দ্র মোদী। তা হলে তাঁর আয়ের উৎস কি? হলফনামায় মোদী জানিয়েছেন, ‘সরকারের বেতন ও ব্যাঙ্কের সুদ’।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী আগের শংসাপত্রগুলিই এ বার পেশ করেছেন। ১৯৬৭ সালে গুজরাত বোর্ড থেকে এসএসসি পাশ করার পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮-এ কলা বিভাগে স্নাতক হন তিনি। এর পরে ১৯৮৩-তে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন।
পাঁচ বছর আগের মতোই হলফনামায় তিনি যশোদাবেনকে নিজের স্ত্রী বলে ঘোষণা করেছেন। যদিও যশোদাবেনের খবরও তিনি নেন না বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের প্রতিফলন হয়েছে হলফনামাতেও। স্ত্রী-র পেশা কী, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘জানা নেই’। তাঁর আয়, বিনিয়োগ বা সম্পত্তি নিয়েও মোদী জবাব— ‘জানা নেই’।