ছবি: এএফপি।
কার্যত অগ্নিপরীক্ষা! আজ ভোট হওয়া ৭২টি আসনের মধ্যে ৫৬টিতেই গত বার মোদী ঝড়ে অনায়াসে জিতেছিলেন এনডিএ প্রার্থীরা। যে ঝড় দিল্লি দখলের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। পাঁচ বছর পরে জেতা আসন এনডিএ কতটা ধরে রাখতে পারবে, তার উপরে নির্ভর করছে তাদের ফিরে আসা।
চতুর্থ দফায় ভোট ছিল ৯টি রাজ্যে, ৭২টি আসনে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৭২টি আসনে গত বারের চেয়ে প্রায় ১.৫% বেশি ভোট পড়েছে। ৯টি রাজ্যের মধ্যেই রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ। সেখানে গত বার কার্যত খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল বিরোধীরা। মধ্যপ্রদেশে ২৯টির মধ্যে দু’টি আসন কংগ্রেসের। রাজস্থানে ২৫টির সব ক’টিতেই বিজেপি।
কিন্তু এ বারে লড়াই সেয়ানে-সেয়ানে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে বিজেপিকে হটিয়ে ক্ষমতায় কংগ্রেস। কৃষি ঋণ মকুব করেছে তারা। তবে যে পরিমাণ ঋণ মকুব করার কথা ছিল, কংগ্রেস সরকার তা করেনি বলেই অভিযোগ বিজেপির। তাদের দাবি, মধ্যপ্রদেশের বিধানসভাতে টক্কর হয়েছিল সমানে সমানে। রাজস্থানে মাত্র ০.০৫% ভোটের পার্থক্যে ক্ষমতায় এসেছিলেন অশোক গহলৌতরা। আজকের ভোট নিয়ে তাই আশাবাদী বিজেপি। দল মনে করছে, মধ্যপ্রদেশে প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে নামানোয় মেরুকরণের ফায়দা মিলবে। বালাকোট অভিযানের মতো বিষয়গুলি হাতিয়ার করায় রাজস্থানে কংগ্রেসকে টক্কর দিতে পারবেন বিজেপি প্রার্থীরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে কংগ্রেসের নেতৃত্বের দাবি, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে যে ভাবে বিজেপিকে ছুড়ে ফেলেছিলেন মানুষ, লোকসভাতেও তাই হবে। ঝাড়খণ্ডে ভাল ফলের আশা বিজেপি নেতৃত্বের। মোদী-শাহদের চিন্তায় রেখেছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৪৮টির মধ্যে ৪২টিআসনে জিতেছিল এনডিএ। এ বারবিজেপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে এনসিপি ও কংগ্রেস।