নির্বাচনী প্রচারে মোদীর হাতিয়ার বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযান। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানে ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছিল? এই নিয়ে শাসক বিরোধী চাপান-উতরের পর্ব যখন কিছুটা স্তিমিত, তখন ফের সেই ইস্যুকেই তুলে আনলেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের প্রচারে হাতিয়ার করলেন জাতীয়তাবাদকে। ওড়িশার কোরাপুটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বললেন, বালাকোটে অভিযানের এক মাস পরেও ‘এখনও লাশ গুনছে পাকিস্তান’। একই সঙ্গে বিরোধীদের তোপ, শত্রু দেশে ঢুকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হামলার পরও বিরোধীরা ‘প্রমাণ চাইছেন’। মিশন শক্তি নিয়েও বিরোধীদের কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে গিয়ে বোমা ফেলে আসে ভারতীয় বায়ুসেনা। কেন্দ্রের দাবি ছিল, জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা ফেলা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস সহ বিরোধীদের দাবি ছিল, ওই অভিযানে কত জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য দিক সরকার। কিন্তু বায়ু সেনা বা সরকার, কোনও পক্ষই সেই তথ্য দিতে পারেনি। বেশ কিছুদিন ধরেই সেই তরজা চলার পর কিছুটা পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিল।
কিন্তু শুক্রবার কোরাপুটে নির্বাচনী প্রচার সভায় সেই ইস্যুই ফের চাগিয়ে তুললেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, (বালাকোটে অভিযানের পর) এক মাস কেটে গিয়েছে। পাকিস্তান এখনও সেখানে নিহতদের মৃতদেহ গুনছে। আর বিরোধীরা এখনও প্রমাণ চাইছেন।’’ বিরোধীদের নিশানা করে এ দিন আরও বলেন, ‘‘ভারত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। শত্রু দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আক্রমণ করছে, আর ওঁরা প্রমাণের পিছনে পড়ে রয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: এ বার বাংলায় এনআরসি আনব, অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে খুঁজে তাড়াব, হুঙ্কার অমিত শাহের
আরও পড়ুন: সারদা কাণ্ডের কল রেকর্ডস দিচ্ছে না এয়ারটেল-ভোডাফোন! সিবিআই-এর নালিশে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
মঙ্গলবারই ভারত অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল (এ-স্যাট)-এর সফল পরীক্ষা করেছে ভারত। জাতির উদ্দেশে ভাষণে সেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর থেকেই এই ‘মিশন শক্তি’কে প্রচারে হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোরাপুটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ দিনও তিনি বলেন, ‘‘দু’দিন আগে ওড়িশার সঙ্গে গোটা দেশ একটা বিরাট সাফল্য দেখেছে। ভারত এখন মহাকাশেও মহাশক্তিধর। সারা বিশ্ব সেটা দেখেছে। অর্থাৎ ভারত এখন অন্তরীক্ষেও ‘চৌকিদার’।’’ এই ইস্যুতেও বিরোধীদের প্রতি মোদীর কটাক্ষ, ‘‘গোটা বিশ্ব এবং আমাদের দেশ যখন এই বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বে গর্বিত, তখন কিছু লোক আছে, যাঁরা শুধু সেই সাফল্যের খুঁত ধরতে, প্রশ্ন তুলতে এবং সমালোচনা করতে ব্যস্ত।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই সব প্রশ্ন তুলে, খুঁত ধরে বিরোধীরা দেশের ‘বিজ্ঞানীদের অপমান’ করেছেন বলেও আক্রমণ করেন মোদী। আর এর জন্য বিরোধীদের শাস্তি পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর।