নির্বাচন কমিশনকে কিন্তু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে। ছবি: সংগৃহীত।
ভিভিপ্যাটের কাগজের স্লিপের সঙ্গে ইভিএম তথ্যে কোনও গরমিল পাওয়া গেলে সেই আসনের সমস্ত ভিভিপ্যাটের সঙ্গে ইভিএমের তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে। এই দাবি নিয়ে ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের এই প্রতিনিধিদলে হাজির ছিলেন কংগ্রেস,তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, তেলগু দেশম, ন্যাশনাল কনফারেন্স-সহ ২২টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
আজ সকাল থেকেই ইভিএম নিয়ে সরগরম রাজধানীর রাজনীতি। উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় স্ট্রং রুমে সন্দেহজনক গতিবিধির ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে আসার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করেন। দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়-ও ইভিএম কারচুপির ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেন।।
বেলা বাড়তে ইভিএম কারচুপির এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে কোথাও কোনও গাফিলতি থাকলে দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করে তারা।
আরও পড়ুন: আজ রাতেই হবে ইভিএম কারচুপি, কমিশনকে চিঠি আপ নেতার, স্ট্রং রুমে পাহারা বিরোধীদের
এরই মধ্যে নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবেচন্দ্রবাবু নায়ডুর উদ্যোগে জরুরি বৈঠকে বসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, অশোক গহলৌত এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এবং আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল, বহুজন সমাজ পার্টির নেতা দানিস আলি-সহ আরও অনেকে। এরপরই ২২ টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা যান নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাঁরা বলেন, ভিভিপ্যাটের কাগজের স্লিপের সঙ্গে ইভিএম তথ্যে কোনও গরমিল পাওয়া গেলে সেই আসনের সমস্ত ভিভিপ্যাটের সঙ্গে ইভিএমের তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, যে পাঁচটি বুথের ক্ষেত্রে ভিভিপ্যাটের স্লিপ এবং ইভিএম মিলিয়ে দেখার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন, সেই পাঁচটি বুথ গণনার আগেই বাছাই করে ফেলতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শেষ রাউন্ডের ভোটের পরই এই পাঁচটি বুথকে লটারির ভিত্তিতে চিহ্নিত করার কথা।
আরও পড়ুন: বুথফেরত সমীক্ষার গুজবে কান দেবেন না, স্ট্রং রুম পাহারা দিতে কর্মীদের নির্দেশ প্রিয়ঙ্কার
নির্বাচন কমিশনে নিজেদের বক্তব্য জানানোর পর কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আগামীকাল সকালে আমাদের সঙ্গে ফের কথা বলার জন্য সময় চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, কংগ্রেস বা অন্য কাউকে ভোট দিলেও সেই ভোট বিজেপির খাতায় জমা হচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা আটকাতেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা।