রবিবারের গাঁধী ময়দানে ১০ লক্ষ মানুষের সমাবেশই এনডিএ-র লক্ষ্য। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা ভোটের আগে, আগামী কাল বিহারে শক্তি প্রদর্শনে নামছে এনডিএ জোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমার ও রামবিলাস পাশোয়ানের উপস্থিতিতে রবিবারের গাঁধী ময়দানে ১০ লক্ষ মানুষের সমাবেশই এনডিএ-র লক্ষ্য। বিজেপির এক নেতার কথায়, মাস খানেক আগে এই গাঁধী ময়দানে রাহুলের সভায় যত লোক হয়েছিল তার তিনগুণ বড় প্রচার সভা হবে কাল।
২০১৪-য় দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পর পটনা থেকেই প্রচার শুরু করেছিলেন মোদী। যদিও সেই সময় তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু মোদীর হাত ধরেই এনডিএ-তে ফিরেছেন। এ বার মোদীর সঙ্গে মঞ্চে থাকবেন নীতীশ।
এই সভার প্রস্তুতির জন্য গত একমাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছেন বিজেপি, জেডিইউ, লোক জনশক্তি পার্টির নেতারা। প্রত্যেক বিধায়ক ও সাংসদকে ‘টার্গেট’ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, টার্গেট পূরণের উপরে আগামী দিনে দলের টিকিটও নির্ভর করবে বলে তাঁদের জানানো হয়েছে। বিহারের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব আজ বলেন, ‘‘সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে এই সভা। দেশের মানুষ মোদীজিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে। সে কারণেই এই সভার নাম রাখা হয়েছে ‘সঙ্কল্প সভা’।’’ জেডিইউ রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহের কথায়, ‘‘সকলে মিলেই কংগ্রেস ও আরজেডিকে হারানোর শপথ নেওয়া হবে এই সমাবেশ থেকে।’’ আজ দুপুর থেকেই পটনায় বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। পটনা শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের থাকার জন্য শিবির করা হয়েছে। শহর ছেয়ে গিয়েছে মোদী, নীতীশ, রামবিলাস থেকে শুরু করে ছোটও মাঝারি নেতাদের পোস্টার, ব্যানার এবং কাটআউটে। বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি দফতরে এখন উৎসবের পরিবেশ। নেতা থেকে স্বেচ্ছাসেবক, সকলেই ব্যস্ত!
পাশাপাশি, পটনা শহরকে নিরাপত্তায় মুড়েছে পুলিশ। ২০১৪ সালে মোদীর সভায় জঙ্গি সংগঠনের বিস্ফোরণের কারণে এ বার পুলিশ অতিরিক্ত সতর্ক। গাঁধী ময়দানের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে এসপিজি। রাজ্য পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে আজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। আজ থেকে শহরের যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।