নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। কী ফলাফল হতে চলেছে, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, কান পাতলেই রাস্তাঘাটে সেই সব জল্পনা শোনা যাচ্ছে। এই নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু অবশ্যই নরেন্দ্র মোদী।
দেশের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন, নাকি ক্ষমতায় উঠে আসবে অন্য কোনও মুখ? জল্পনা এই নিয়েই।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ১৩ বছর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। তরুণ বয়স থেকেই আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত। এহেন একজন হেভিওয়েট প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?
নির্বাচন কমিশনে সম্পত্তির যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তিনি, সেই অনুযায়ী, এই মুহূর্তে তাঁর কাছে রয়েছে ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা নগদ।
নগর ছাড়া ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৬৯ টাকা।
৪৫ গ্রাম সোনার গয়না রয়েছে বলে হলফনামায় জানিয়েছেন মোদী। যার বাজারমূল্য ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
হলফনামায় স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে কোনও তথ্য দেননি তিনি। ওই অংশটা ফাঁকা রেখে দিয়েছেন।
কোনওরকম ঋণ নেই, কোনও গাড়ি নেই বলে হলফনামায় জানিয়েছেন তিনি।
এই হলফনামা অনুযায়ী, গাঁধীনগরের সেক্টর ১-এ তাঁর একটি নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা।
তিনি যা আয় করেন তা সরকারের থেকে প্রাপ্ত মাইনে এবং ব্যাঙ্ক আমানত থেকে প্রাপ্ত সুদ বলে হলফনামায় জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
হলফনামায় মোদী নিজেকে স্নাতকোত্তর বলে উল্লেখ করেছেন। ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তারপর ১৯৮৩ সালে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।