অযোধ্যার কাছেই হয়তো মোদীর সভা

সচিবালয় সূত্রের মতে, অযোধ্যা ও আশপাশের এলাকায় ভোট ৬ মে। ১ মে প্রধানমন্ত্রীর সভা করানোর কথা ভাবা হচ্ছে অযোধ্যার কাছে গোসাইগঞ্জে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

ক্ষমতায় এসেছেন পাঁচ বছর হল। কিন্তু এক বারও অযোধ্যা যাননি নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এলেও সঙ্ঘের দাবি মেনে সংসদে আইন আনেননি প্রধানমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন বলে সরকারের হস্তক্ষেপ সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন। ভোটের সময় মোদীকে স্বস্তি দিতে রামমন্দির আন্দোলনে বিরতি টানলেও গেরুয়া পরিবার চায়, ভোট প্রচারে একবার তো আসুন মোদী। তাই এখন অযোধ্যার কাছেই তাঁর সভা করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়।

সচিবালয় সূত্রের মতে, অযোধ্যা ও আশপাশের এলাকায় ভোট ৬ মে। ১ মে প্রধানমন্ত্রীর সভা করানোর কথা ভাবা হচ্ছে অযোধ্যার কাছে গোসাইগঞ্জে। তবে মোদী অযোধ্যার বিতর্কিত স্থলে যাবেন কি না, তা চূড়ান্ত নয়। সম্ভাবনাও কম। সঙ্ঘের এক সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রী আজও বারাণসীতে রোড-শো করেছেন গেরুয়া বসনে। তাঁর রোড-শো জুড়ে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি উঠেছে। কিন্তু রামমন্দির না হওয়ার জন্য হিন্দুদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সেটি অনেকটাই প্রশমিত হতে পারে যদি প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় যান।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিজেপির কাছে আশঙ্কার বিষয় অবশ্য অন্য। অতীতে ভোটে রামমন্দির ঘিরে হিন্দুত্বের তাস যে ভাবে প্রভাব ফেলত, তা এ বারে উধাও। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ না হওয়ায় হিন্দুদের যে গোষ্ঠীর মধ্যে রোষ রয়েছে, তা বড় কিছু নয়। যে কারণে এ বারে উগ্র হিন্দুত্বের পথে যায়নি বিজেপি।

সঙ্ঘ পরিবারকেও যে কারণে আন্দোলনে রাশ টানার আবেদন জানানো হয়েছে। বিজেপির এক নেতা বলেন, “অতীতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণের তাস কাজে আসত, পূর্ব প্রান্তে শুধুই জাতের সমীকরণ। কিন্তু এ বারে এসপি-বিএসপি-আরএলডির জোটের কারণে মেরুকরণও কাজে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব প্রান্তে হিন্দুত্ব কতটা কাজে আসবে, তাতেও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement