ফের ‘বিদেশি’ খোঁচা রাহুলকে

ক’দিন আগেও একই অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছিল অমেঠীতে মনোনয়ন পেশের পর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ০১:০৬
Share:

ছবি: পিটিআই।

এক সময় সনিয়া গাঁধীকে বিজেপির আক্রমণের প্রধান উপাদান ছিল ‘বিদেশিনি’ অস্ত্র। এ বার তারা প্রশ্ন তুলছে, রাহুল গাঁধী দেশি না বিদেশি? চার দফা ভোটের পর মোদী সরকারের নতুন হাতিয়ার এটাই। অভিযোগটি যদিও পুরনোই।

Advertisement

লন্ডনে ব্যাকঅপস নামে একটি সংস্থায় রাহুলের অংশীদারিত্ব ছিল আর সেখানে রাহুল নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন সংস্থার বার্ষিক রিটার্নে— সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাহুলের অবস্থান জানতে চাইল ১৫ দিনের মধ্যে।

ক’দিন আগেও একই অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছিল অমেঠীতে মনোনয়ন পেশের পর। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা জেলাশাসক অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ২০১৫ সালে আইনজীবী এম এল শর্মাও সুপ্রিম কোর্টে একই অভিযোগ করেছিলেন। সেটিও ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে এথিক্স কমিটিতেও বিষয়টি তোলা হয়। সেখানেও একই পরিণতি হয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অমেঠীতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আজ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘গোটা ভারত জানে, রাহুল গাঁধী ভারতীয়। তাঁদের সামনেই রাহুলের জন্ম, বড় হয়ে ওঠা। আসলে বিজেপি হারছে। তাই ভয়ে এ সব বলছে।’’ দিল্লিতে কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নৌকা ডুবছে। তাই শীর্ষ আদালত থেকে নির্বাচন কমিশন খারিজ করার পরেও বারবার একই অভিযোগ নিয়ে মিথ্যার ষড়যন্ত্র রচনা করছেন।’’ কংগ্রেস লন্ডনের সেই সংস্থার নথিও সামনে নিয়ে আসে। সেটিই ‘আসল’ নথি দাবি করে কংগ্রেস দেখাতে চাইছে, যেখানে রাহুলের নাগরিকত্ব ভারতীয়ই বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নোটিসের জবাবও দেওয়া হবে। যাঁর মন্ত্রকের বিদেশ বিভাগ থেকে এই চিঠি গত কাল রাহুলের কাছে গিয়েছে, তার মন্ত্রী রাজনাথ সিংহও ঢোক গিলছেন জবাব দিতে। গোটা বিষয়টি লঘু করে তিনি বলেন, ‘‘কোনও সাংসদ অভিযোগ করলে মন্ত্রক নিয়ম মেনে জবাব চায়। এটি কোনও বড় ঘটনা নয়।’’ কিন্তু ভোটের মধ্যে এমন চিঠি কেন? বিশেষ করে যখন সদ্য নির্বাচন কমিশন অভিযোগ খারিজ করেছে! রাজনাথের জবাব, ‘‘সেই সাংসদ এই অভিযোগ অনেক বার করেছেন, মন্ত্রক প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জবাব দেবেন।’’

রাজনাথ গুরুত্ব দিতে না চাইলেও বিজেপি ছাড়ছে কই? দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র আজ দিল্লিতে এই নিয়ে ফের হল্লা করলেন। বললেন, ‘‘এক দিকে ইয়েতির পদচিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে, আর অন্য দিকে রাহুল গাঁধীর পদচিহ্নও কোথায় কোথায় ছড়িয়ে, তারও হদিস মিলছে। ২০০৫ সালের বার্ষিক রিটার্ন থেকে ২০০৯ সালে সেই সংস্থা বন্ধ হওয়ার সময়েও রাহুল গাঁধীর নাগরিকত্ব ব্রিটিশ লেখা হয়েছে। ফলে আসল প্রশ্ন, রাহুল গাঁধী দেশি না বিদেশি?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement