general-election-2019-national

অলওয়ার কাণ্ড নিয়ে একসুর মোদী ও মায়ার

২৬ এপ্রিল অলওয়ারে এক দলিত মহিলাকে তাঁর স্বামীর সামনেই গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মুকেশ গুর্জর নামে এক অভিযুক্ত সেই ঘটনার ভিডিয়ো করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ০১:১৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাজস্থানের অলওয়ারে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসকে প্রায় একই সুরে আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী ও মায়াবতী।

Advertisement

২৬ এপ্রিল অলওয়ারে এক দলিত মহিলাকে তাঁর স্বামীর সামনেই গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মুকেশ গুর্জর নামে এক অভিযুক্ত সেই ঘটনার ভিডিয়ো করে। নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তার পরেও মুকেশ ওই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মহিলার পরিবারের কাছে টাকা চায় বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, ৩০ এপ্রিল অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। তারা ভোট শেষের জন্য অপেক্ষা করছিল। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে হইচই শুরু হয়। পরে অবশ্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগেই বিষয়টি নিয়ে রাজস্থানের কং‌গ্রেস সরকারকে নিশানা করেছিল বিজেপি ও বিএসপি। আজ উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরের এক সভায় মোদী বলেন, ‘‘ভোটের জন্য কংগ্রেস রাজস্থানে দলিত মহিলার ধর্ষণের ঘটনার খবর চেপে রাখতে চেয়েছিল। ওরা দেশের মেয়েদেরই ন্যায় দিতে পারে না।’’ প্রায় একই সুরে আজ মায়াবতী বলেন, ‘‘রাজস্থানে নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষতি এড়াতে দলিত মহিলার ধর্ষণের ঘটনা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত চেপে রেখেছিল কংগ্রেস সরকার। নির্যাতিতার পরিবারকেও হুমকি দিয়েছিল তারা।’’

দোষীদের অবশ্যই শাস্তি হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। কিন্তু মায়াবতীর দাবি, ‘‘কংগ্রেস সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে না ওই দলিত মহিলা সুবিচার পাবেন। আমাদের অনুরোধ, সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে এই তদন্ত হোক। শীর্ষ আদালতের উচিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা।’’ এরই মধ্যে আজ মায়াবতীর প্রশংসা করেছেন রাহুল গাঁধী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মায়াবতী এক জন জাতীয় প্রতীক। তিনি আমাদের দলের সদস্য নন। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াইও হয়। কিন্তু আমি তাঁর অবদানকে শ্রদ্ধা করি।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement