কমল হাসন বললেন, গ্রেফতারির ভয় তিনি পান না।
‘নাথুরাম গডসে স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাসী’, এই মন্তব্য নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কমল হাসন। এই মন্তব্যের পর তাঁর দিকে জুতো ছুড়ে হামলার চেষ্টাও হয়েছে। এ বার মাক্কাল নিধি মইয়াম প্রতিষ্ঠাতা বললেন, প্রতিটি ধর্মেই সন্ত্রাসবাদী রয়েছে। কমলের কথায়, গ্রেফতারির ভয় তিনি পান না। তাঁকে গ্রেফতার করতেই পারে। এতে অশান্তি বরং আরও বাড়বে। তবে এটা হুমকি নয়, কারণ তিনি শান্তির পক্ষে।
কমলের কথায়, ‘‘এ কথা আমি যে প্রথম বার বলছি, এমনটা নয়। আসলে সন্ত্রাসবাদ তো কোনও ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। যে কোনও ধর্মেই সন্ত্রাসী থাকতে পারে। হিন্দুরা যে খুব পবিত্র, এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারি না।’’
মাক্কাল নিধি মইয়াম-এর প্রার্থী এস মোহনরাজের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন হাসন। সেখানে নাথুরাম গডসেকে স্বাধীন ভারতের প্রথম ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদী’ বলে বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়েন। তামিলনাড়ুর আরাভাকুরিচির ওই জনসভায় হাসন বলেন, ‘‘স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী এক জন হিন্দু। তিনি মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে। তাঁকে দিয়েই (সন্ত্রাসবাদ) শুরু হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন: স্থাবর সম্পত্তি নেই, নেই গাড়িও, নগদের পরিমাণ লাখ টাকারও কম, হলফনামায় জানালেন অভিষেক
কমল এই পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘‘ইতিহাসই প্রমাণ করে দিয়েছে, প্রতিটি ধর্মেই সন্ত্রাসবাদী রয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ইতিহাসই উত্তর দেবে, এ কথাও বলেন কমল।
আরও পড়ুন: রক্ষাকবচ তুলল সুপ্রিম কোর্ট, রাজীব কুমারকে গ্রেফতারে বাধা নেই সিবিআইয়ের
গডসে মন্তব্য নিয়ে কমল নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, তাঁর মন্তব্যের অর্থ ছিল সংহতি। তিনি মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান নির্বিশেষে সকলের কাছে পৌঁছতে চান। কিন্তু হাসনের এই মন্তব্যের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
১৯ মে তামিলনাড়ুর চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন। এর মধ্যে আরাভাকুরিচি এবং তিরুপ্পারানকুন্দ্রামও রয়েছে। ২০১৮ সালে মাক্কাল নিধি মইয়াম নামে যে দল গড়েছেন কমল হাসন, চলতি লোকসভা নির্বাচনে এই প্রথম তাঁর দল লড়ছে। আরাভাকুরিচি এবং তিরুপ্পারানকুন্দ্রামের উপনির্বাচনেও প্রার্থী দিয়েছে মাক্কাল নিধি মইয়াম।