জিতলেই জেলে পাঠাবো, হুঙ্কার মোদীর

জুনাগড়ের সভায় মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ। তবে এ বার একটা নতুন কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। যার প্রমাণও রয়েছে। ‘তুঘলক রোড ভোট দুর্নীতি’তে হাত কালো করেছে কংগ্রেস। যেখানে গরিবের টাকা, সন্তানসম্ভবাদের জন্য রাখা টাকা লুট হয়েছে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জুনাগড় শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১৯
Share:

দুর্নীতিগ্রস্তদের ইতিমধ্যেই তিনি জেলের দরজায় দাঁড় করিয়েছেন, আরও পাঁচ বছরের জন্য সরকারে এলে তাদের গরাদের ও-পারে পৌঁছে দেবেন বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ গুজরাতে ভোট প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘তুঘলক রোড ভোট দুর্নীতি’-র নতুন অভিযোগ হাজির করেছেন তিনি।

Advertisement

জুনাগড়ের সভায় মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ। তবে এ বার একটা নতুন কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। যার প্রমাণও রয়েছে। ‘তুঘলক রোড ভোট দুর্নীতি’তে হাত কালো করেছে কংগ্রেস। যেখানে গরিবের টাকা, সন্তানসম্ভবাদের জন্য রাখা টাকা লুট হয়েছে।’’ মোদী অবশ্য এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কারও নাম করেননি। তবে রাহুল গাঁধীর বাসভবন দিল্লির তুঘলক লেনে, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ সাংসদ হিসেবে দিল্লিতে যে বাংলোটি পেয়েছিলেন, সেটির ঠিকানাও ১, তুঘলক রোড। সম্প্রতি কমল নাথের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর। এর আগে কর্নাটকেও এমন তল্লাশি হয়েছে কংগ্রেস ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে। এ সব নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই আয়কর হানার কথা টেনেই ভোটারদের উদ্দেশে মোদীর মন্তব্য, ‘‘সংবাদমাধ্যমে আপনারা দেখেছেন, তিন-চার দিনে কংগ্রেসের নেতাদের থেকে কত নগদ উদ্ধার হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ওদের সরকারের ছ’মাসও কাটেনি। এর মধ্যেই এমন ঘটনা। আগে কর্নাটক ছিল কংগ্রেসের এটিএম, এখন মধ্যপ্রদেশ হয়েছে ওদের নতুন এটিএম।’’ নগদ উদ্ধারের এই ঘটনাকে ‘ছবির ট্রেলার’ আখ্যা দেন মোদী।

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জুনাগড় ও সোনগড়— দু’টি এলাকার জনসভাতেই নেহরু-গাঁধী পরিবার থেকে শুরু করে কংগ্রেসের ইস্তাহারকে নিয়ে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘কংগ্রেসে শুধু একটি পরিবারের কাহিনি। যদি ওদের হাতে ফের শাসন ক্ষমতা যায়, তা হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের হাতে কিছুই থাকবে না।’’ কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করেন মোদী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বল্লভভাই পটেল না থাকলে কাশ্মীর আমাদের হাতে থাকত না।... তবে নেহরু কাশ্মীরকে যে ভাবে সামলেছেন, তার জেরেই আজ ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মরতে হচ্ছে।’’ মোদী বলেন, ‘‘নেহরু-গাঁধী পরিবার গুজরাতের নেতাদের সব সময়েই নিশানা করে এসেছে। বল্লভভাই পটেল থেকে মোরারজি দেশাই। এখন আমার পালা এসেছে। তবে ওই পরিবার এখন ভয় পাচ্ছে। কারণ, সর্দার সাহেবকে ওরা বাগে আনতে পেরেছিল। মোরারজিভাইয়ের সরকারও ফেলে দিতে পেরেছিল। কিন্তু এই চাওয়ালা নিজের শক্তি দেখিয়ে পাঁচ বছর কাটিয়ে দিয়েছে।’’

রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে লঘু করা এবং কাশ্মীরে সেনা কমাতে কংগ্রেস ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মোদী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যারা দেশকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে, তারা কি দেশদ্রোহী নয়? কংগ্রেস বলছে ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন সংশোধন করবে। এটা কি ১২৫ বছরের কোনও দলের কাছে আশা
করা যায়?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement