দিব্যা তোপ দাগলেন মিম বিতর্কে।
ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এক হাত নিলেন কংগ্রেস নেত্রী দিব্যা স্পন্দনা। বললেন, বাক-স্বাধীনতা নিয়ে দ্বিচারিতা করছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন অরুণ জেটলি। ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করার জন্য বিজেপির যুব মোর্চা নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
কংগ্রেসনেত্রী দিব্যার অভিযোগ, বিজেপি নিজেদের ক্ষেত্রে একই অবস্থান বজায় রাখতে পারছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের সেপ্টেম্বর মাসের একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করেন, যে পোস্টের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি মিম পোস্ট করেছিলেন দিব্যা। এর পরই তৈরি হয় বিতর্ক।
শুক্রবার বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী দাশনগরের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা শর্মাকে হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ গ্রেফতার করে। হাওড়ার এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রিয়ঙ্কা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
সেই ছবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সাম্প্রতিক মেটা-গালা অনুষ্ঠানের পোশাকে দেখানো হয়েছে। পরে বিজেপি নেত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি, দু’টি গাড়ি, গয়না...সম্পত্তির হিসাব দিলেন মিমি
সেই সূত্র ধরেই অরুণ জেটলি টুইটারে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকে উদ্দেশ্য করে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। তাতে বলেছিলেন, ‘‘মুক্ত মনের সমাজে ব্যঙ্গ, ঠাট্টা, তামাশা এ সব তো থাকবেই। কিন্তু স্বৈরতন্ত্রে এর কোনও স্থান নেই। স্বৈরাচারীরা পছন্দ করে না, মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে হাসুক। বাংলাতেও এ রকম অবস্থা দাঁড়িয়েছে।’’
আরও পড়ুন: লাইভ: নির্বাচন জুড়ে সন্ত্রাস শুধু পশ্চিমবঙ্গেই হচ্ছে কেন, দায়ী তৃণমূলই: অমিত শাহ
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি পোস্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজিস্ট দিব্যা। যেখানে মোদীর একটি মোমের মূর্তির উপর ‘চোর’ শব্দটি লেখা ছিল। এই প্রসঙ্গ টেনে দিব্যা বলেন, তিনি অরুণ জেটলির সঙ্গে সহমত। কারণ গণতান্ত্রিক দেশে বাক-স্বাধীনতা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে বিজেপি তো উল্টোটাই করেছিল। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছবি শেয়ার করার জন্য কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের নেত্রী দিব্যা স্পন্দনার উপরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয়েছিল।