—ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে জোট গড়ার জন্য আম আদমি পার্টি (আপ)-কে দু’দিন সময় দিল কংগ্রেস।
আজ এআইসিসি দফতরে দুই দলের সমঝোতার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে আসেন দিল্লিতে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পি সি চাকো। তিনি জানান, আপ দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা, পঞ্জাবের মতো রাজ্যেও সমঝোতা চাইছে। বিজেপিকে হারাতে রাহুল গাঁধীও অরবিন্দ কেজরীবালের দলের সঙ্গে সমঝোতারই পক্ষে। গত ভোটের হিসেব অনুযায়ী, দিল্লিতে কংগ্রেস ৩টি আসনে লড়ে বাকি ৪টি আসন আপকে দিতেও রাজি। কিন্তু পঞ্জাব ও হরিয়ানায় আসনের দাবিতে আপ অনড়। ফলে কংগ্রেস এখন দিল্লিতে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে কংগ্রেস সাতটি আসন ঘোষণাও করে দেবে।
মুখে এ কথা বলার পাশাপাশি চাকো বলছেন, ‘‘শুধু দিল্লির ব্যাপারে জোটের কথা বললে কংগ্রেস এখনও রাজি।’’ এত দিন চাকোর সঙ্গেই আপ-এর সঞ্জয় সিংহের সমঝোতা চলছিল। কিন্তু হরিয়ানায় দুষ্মন্ত চৌটালার দলের সঙ্গে আজই জোট ঘোষণা করেছে আপ। হরিয়ানার দশটির মধ্যে সাতটিতে লড়বে চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি, বাকি তিনটিতে আপ। আপের নেতা গোপাল রাই বলেন, দিল্লিতে বিজেপিকে হারাতে আপ একাই যথেষ্ট। কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে সাত কেন্দ্রে। কিন্তু দুই দল যে দর কষাকষি করতে এখনও স্নায়ুর যুদ্ধ করে চলেছে, দু-শিবিরই তা মানছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এক সময় ছেড়ে যাওয়া নেত্রী কৃষ্ণা তিরথকে আজই দলে ফিরিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। আপের সঙ্গে জোট না হলে অজয় মাকেন দিল্লিতে প্রার্থী হতে চান না। শীলা দীক্ষিত জোট-বিরোধী হলেও মাকেন-চাকোর মতো নেতারা মনে করেন, জোট হলেই বিজেপিকে দিল্লিতে হারানো সম্ভব। তবে একই সঙ্গে তাঁরা মানছেন, আপের দাবিও মানা যায় না। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহও সেখানে আপের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খারিজ করেছেন।