শাস্ত্রী ভবনে আগুন, মোদীকেই নিশানা রাহুলের

শাস্ত্রী ভবনে আইন, তথ্য ও সম্প্রচার, কর্পোরেট বিষয়ক, পেট্রোলিয়াম, মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ০০:৫৯
Share:

ছবি: রয়টার্স।

ভরদুপুরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করল শাস্ত্রী ভবনে।

Advertisement

যে শাস্ত্রী ভবনে আইন, তথ্য ও সম্প্রচার, কর্পোরেট বিষয়ক, পেট্রোলিয়াম, মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেল আকাশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই চারদিক থেকে ছুটে এল একের পর এক দমকল। আগুন নেভানোই তখন মূল কাজ। কিন্তু ভবন থেকে বেরিয়ে এসে আগুন দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগল, সরকারের বিদায় বেলায় এই আগুন লাগানোর পিছনেও কোনও ষড়যন্ত্র নেই তো?

বেলা ২টো বেজে ১৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল ২টো ৫৫ মিনিটে আগুন নিভিয়েও দিয়েছে। দমকল দফতর বলছে, সাত তলায় কিছু পুরনো আসবাব, কুলারের মতো সরঞ্জাম ভর্তি করা ছিল। সেখানেই কোনও ভাবে আগুন লেগেছে। খুব সম্ভবত শর্ট সার্কিট হয়েই। কিন্তু এমনই এক সময় একটি টুইট-বোমা ফাটালেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সকাল থেকে তাঁর দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি বেশ শোরগোল শুরু করেছিল। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা অমেঠীর মাটিতে তার জবাব দিয়েছেন। দিল্লিতে কংগ্রেসও। কিন্তু রাহুল টুইট করে এই আগুন লাগা নিয়ে বিঁধলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে। বললেন, ‘‘মোদীজি, ফাইল পুড়িয়েও আপনি বাঁচতে পারবেন না। আপনার ফয়সালার দিন সামনে আসছে।’’ কংগ্রেসের নেতাদের মতে, বিদায় বেলায় এমন ফাইল পুড়িয়ে দেওয়ার নজির নেহাৎ কম নয়। চার দফার ভোটের পরে মোদী বুঝছেন, তাঁর বিদায় নিশ্চিত। ফলে এমন কাণ্ড তিনি ঘটাতেই পারেন। টুইটারে রাহুলকে জবাব দেন বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন, ‘‘রাহুলজি, আপনি মিথ্যে বলা বন্ধ করুন। ওই আগুনে কোনও ফাইল নষ্ট হয়নি।’’ দমকল দফতরের তরফেও জানানো হয়েছে, ফাইল নষ্ট হয়নি।

গত বছরই মুম্বইয়ের আয়কর দফতরে এভাবে আগুন লেগেছিল। আশঙ্কা করা হয়েছিল, নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী, বিজয় মাল্যের মামলা সংক্রান্ত ফাইল তাতে পুড়ে গিয়েছে। পরে বিজেপি সরকার অবশ্য দাবি করে, কোনও ফাইলই নষ্ট হয়নি। কিন্তু কংগ্রেসের অনেকের আশঙ্কা, ক’দিন আগেই রাফাল ফাইল চুরি গিয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছে সরকার। ফলে এ বারেও অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে সরকার আবার নতুন কিছু যুক্তি তুলে ধরতেই পারে। নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এই শাস্ত্রী ভবনেই এক বছরের মাথায় দু’বার আগুন লাগে।

শীর্ষ আদালত, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ খারিজের পরেও বিজেপি রাহুলের নাগরিকত্বের বিষয় তুলে প্রচার করছে। কংগ্রেস সভাপতিও আজ শাস্ত্রী ভবনের আগুন লাগার ঘটনার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকেও সুকৌশলে উস্কে দিলেন। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ প্রসঙ্গে আজই সুপ্রিম কোর্টে রাহুল জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন। কিন্তু প্রচারে রাজনৈতিক স্লোগান চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement