—ফাইল চিত্র।
চলতি লোকসভা ভোট শুধু কেন্দ্রে একটা নতুন সরকার গড়ার নয়, এটা অনেক বেশি আদর্শের লড়াই। মধ্যপ্রদেশের সুজলপুরে ভোটপ্রচারে গিয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী জানান, এই ভোট প্রগতিশীলদের সঙ্গে দেশ বিভাজনকারী শক্তির লড়াই। তাঁর বক্তব্য, এই লড়াইয়ে একদিকে কংগ্রেস এবং সমমনস্ক দলগুলি, অন্য দিকে বিজেপি-আরএসএস। রাহুলের কথায়, ‘‘আমরা সেই আদর্শটার বিরুদ্ধে লড়ছি, যারা সংবিধানের পক্ষে বিপজ্জনক।’’
এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে রাহুল বলেন, ‘‘আমাদের দেশটা ভালবাসায় ভরা, কিন্তু উনি ঘৃণা ও বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। আমি নানা অনুষ্ঠানে ভালবাসা নিয়েই ওঁর কাছে গেছি, কিন্তু উনি জবাব দেননি। আমি ওঁর সঙ্গে শ্রদ্ধা নিয়েই কথা বলেছি, কিন্তু তার পরেও উনি কথাই বলেননি।’’ এর পরেই রাহুল বলেন, ‘‘দেশ চালাতে গেলে কী কী করতে নেই, সেটা আমাকে দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।’’ ওই সাক্ষাৎকারেই স্যাম পিত্রোদার মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গে তিনি ফের বলেন, ‘‘১৯৮৪ একটা বিয়োগান্তক ঘটনা। হিংসা যারাই ছড়াক, তাদের শাস্তি পাওয়াই উচিত। ১৯৮৪ নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই। স্যাম পিত্রোদা যা বলেছেন, তা ভুল।’’
এ দিন সুজলপুরের কংগ্রেস প্রার্থী প্রহ্লাদ টিপানিয়ার হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জনসভায় রাহুল জানান, বিজেপি-আরএসএস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ঘৃণা করেন, কিন্তু তাঁর মনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কখনওই সেই মনোভাব তৈরি হয়নি। ক’দিন আগেই দিল্লির জনসভা থেকে রাহুলের বাবা রাজীব গাঁধীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন মোদী। গত পাঁচ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বে জওহরলাল নেহরু থেকে ইন্দিরা গাঁধী বা রাজীব গাঁধী— কাউকেই আক্রমণ করতে ছাড়েননি মোদী। সেই প্রসঙ্গ না তুলেও এ দিন রাহুল বলেন, ‘‘উনি (মোদী) আমাকে আক্রমণ করেন। উনি ঘৃণা নিয়েই আমার বাবা, ঠাকুমা, বাবার দাদু সম্পর্কে কথা বলেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাহুলের কথায়, ‘‘ঘৃণা দিয়ে ঘৃণাকে জয় করা যায় না। ঘৃণা নয়, শুধু ভালবাসাই নরেন্দ্র মোদীকে হারাতে পারে।’’