চালক ছাড়া ৮৪ কিমি ছোটা সেই মালগাড়ি। ছবি: এক্স।
নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ১০০ কিমি বেগে ছুটতে শুরু করেছিল মালগাড়ি। টানা ৮৪ কিলোমিটার পথ চালক ছাড়াই পাড়ি দিয়েছিল। সেই মালগাড়ির চালককে এ বার বরখাস্ত করল উত্তর রেল। বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মালগাড়ির চালক সন্দীপ কুমারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া স্টেশনে মালগাড়িটি দাঁড় করিয়ে চালক নেমে গিয়েছিলেন। তার ইঞ্জিন চালু ছিল। বিনা বাধা এবং বিনা নিয়ন্ত্রণে একের পর এক স্টেশন পেরিয়ে যেতে শুরু করে ওই মালগাড়ি। একসময় তার গতিবেগ ছুঁয়েছিল ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এ ভাবে ৮৪ কিলোমিটার যাওয়ার পর পঞ্জাবের মুকেরিয়ার উঁচি বস্সিতে গাছের গুঁড়ি, স্লিপার ইত্যাদি লাইনে ফেলে মালগাড়িটিকে থামানো হয়।
রেলের তরফে এই ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছিল। একটি বিবৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ‘‘ওই মালগাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত চালক নিজের কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। রেলের নিয়ম অনুযায়ী সুরক্ষা বজায় রাখতে পারেননি। তাঁর গাফিলতি, অবহেলা বড় কোনও দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত। মানুষের প্রাণও যেতে পারত তাতে। এই ঘটনা রেলের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করেছে।’’
রেল সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ কাঠুয়া স্টেশনে একটি মালগাড়ি দাঁড় করানো হয়েছিল। ৫৩টি ওয়াগন ছিল তাতে। সেগুলির মধ্যে বোঝাই করা ছিল কংক্রিট। চালক পরিবর্তনের জন্য মালগাড়িটি দাঁড় করানো হয়েছিল। ইঞ্জিন চালু রেখেই চালক এবং সহ-চালক চা খেতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময়েই মালগাড়িটি গড়াতে শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, চালক হ্যান্ডব্রেক না লাগিয়েই ইঞ্জিন থেকে নেমে গিয়েছিলেন। ইঞ্জিন চালু ছিল। রেলপথ ঢালু থাকায় মালগাড়িটি গড়াতে শুরু করে। তার পর সেটির গতি বাড়তে বাড়তে ১০০ কিমিতে পৌঁছয়। ওই অবস্থাতেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে পঞ্জাবে গিয়ে পৌঁছয়। মাঝে পেরিয়ে যায় অনেক স্টেশন। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারত নিয়ন্ত্রণহীন ওই মালগাড়ি।