প্রতীকী ছবি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই আবহেই রবিবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ঘোষণা করলেন, শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য দিনে ৩০০ টি শ্রমিক স্পেশাল চালাতে প্রস্তুত আছে রেল। পরিযায়ী শ্রমিকদের আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ঘরে ফেরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে আরও জোরদার পদক্ষেপ করার অনুরোধও করেছেন তিনি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে দেশ জুড়ে দাবি ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটছে। এর মধ্যেই অওরঙ্গাবাদে ট্রেনের ধাক্কায় ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যুতে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। বিতর্কের ঝড়ের মধ্যেই, এ দিন টুইট করে রেলমন্ত্রকের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে দেন পীযূষ গয়াল। তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে গত ছ'দিন ধরে কম সময়ের নোটিশে প্রতিদিন ৩০০টি ট্রেন চালাতে পুরোপুরি তৈরি রেলমন্ত্রক। আমি সব রাজ্যকে আবেদন করব আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে তাঁরা যেন অনুমতি দেন। যাতে আমরা তিন থেকে চার দিনের মধ্যে তাঁদের সকলকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারি।’’
গত পয়লা মে থেকে যাত্রা শুরু করেছে শ্রমিক স্পেশাল। যাত্রাস্থল থেকে গন্তব্যের মধ্যো কোথাওই দাঁড়াবে না ওই ট্রেন। বিভিন্ন রাজ্যের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অংশে এখনও পর্যন্ত এক কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আটকে রয়েছেন। লকডাউনের জেরে বন্ধ কাজকর্ম। ফলে অনেকেই তীব্র অর্থকষ্টে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে খাবারের সঙ্কটও।
আরও পড়ুন: পরশু থেকে চালু দূরপাল্লার ট্রেন, আপাতত দিল্লি ও ১৫ শহরের মধ্যে
রেলমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য মতে, এখনও পর্যন্ত ৩৬৬ টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে ২৮৭টি ট্রেন ইতিমধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছে। এ দিন পর্যন্ত ৭৯টি ট্রেন মাঝ পথে রয়েছে। ওই ট্রেনগুলিতে ৩ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছেন বলেও রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। দুই রাজ্যেই সেই সংখ্যাটা ৮০ হাজার করে। এর পরই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড। এ রাজ্যেও রাজস্থান ও কেরল থেকে তীর্থযাত্রী ও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ফিরেছে দুটি ট্রেন।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই ওড়িশায় লাফিয়ে বাড়ল করোনা আক্রান্ত, বাড়ছে উদ্বেগ