—ফাইল ছবি
একমাত্র কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া আগামী সোমবার থেকে কার্যত খুলে যাচ্ছে গোটা দেশের দরজা। যদিও ছাড়ের তালিকায় এখনও নাম ওঠেনি লোকাল ট্রেন, মেট্রো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। জুনের মাঝামাঝি পরিস্থিতি বিবেচনা করে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালুর প্রশ্নে সমীক্ষায় বসবে কেন্দ্র। যদিও সূত্রের মতে, ফি দিন যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে জুলাইয়ের আগে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালানোর কথা ভাবছে না রেল। আর সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত বন্ধই থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১ জুন থেকে ‘আনলক’ পর্ব শুরু হলেও লোকাল ট্রেন বা মেট্রোর মতো গণপরিবহণের ক্ষেত্রে এখনই ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্র। রেলের ব্যাখ্যা, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মোট সংক্রমণের ৭০ শতাংশ ‘পজিটিভ কেস’ মিলছে মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, পুণে, ঠানের মতো বড় শহরে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, এ সব জায়গায় লোকাল ট্রেন বা মেট্রো চালালে সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে যাবে। কারণ রেলের বর্তমান পরিকাঠামোয় এই বড় শহরগুলির যাত্রীদের পক্ষে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। যা মানছেন রেলকর্তারাও। একই কারণে বন্ধ থাকছে কলকাতা মেট্রোও। দিল্লি সরকার মেট্রো খোলার পক্ষে সওয়াল করলেও এখনই রাজি নয় কেন্দ্র। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের জন্য মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর পক্ষে আজ সওয়াল করেন উদ্ধব সরকারের মন্ত্রী জীতেন্দ্র অওয়ধ। কিন্তু রেলের বক্তব্য, একবার ট্রেন চালানোর ঘোষণা হলে গোটা শহরের ভিড় স্টেশনমুখী হবে। তখন কে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত, কে নয়, সেটা বাছবে কে!
সরকারি সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, রেল, শিক্ষা ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে ফি দিন বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। জুলাইয়ের আগে স্কুল খোলার সম্ভাবনাই নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তা-ও জুলাইয়ে সংক্রমণের হার কমলে তবে স্কুল চালুর কথা ভাবা হবে। প্রথমে কলেজ ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ক্লাসগুলি চালু হবে। তার পর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক। সে ক্ষেত্রেও কড়া সাবধানতা নিয়ে স্কুলের সময়সীমা ভাগ হবে। অর্ধেক পড়ুয়া আসবে সকালে। তাদের ছুটি দিয়ে ফের অর্ধেক পড়ুয়া নিয়ে দুপুরে বসবে স্কুল।
আরও পড়ুন: সাবধান না হলেই বিপদ, বার্তা হু-র