হরিরামপুরে চলছে মাদুরের কাজ। —নিজস্ব চিত্র
১০০ দিনের প্রকল্পে মাদুরকাঠি চাষে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের জন্য ভারতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করল দক্ষিণ দিনাজপুর। গতানুগতিক ফসল চাষের পাশাপাশি গ্রামের গরীব মানুষকে মাদুরকাঠি চাষে উদ্বুদ্ধ করে হস্তশিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। এ জেলার হরিরামপুর ব্লকের শিরসি, পুন্ডরি ও বাগিচাপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ৯৯টি পরিবারকে ১০০ দিনের প্রকল্পে মাদুর চাষে যুক্ত করা হয়েছে। আরও ৪০০ পরিবারকে ওই প্রকল্পে যুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। ১০০ দিনের প্রকল্পে মাদুর চাষ করে উৎপাদিত শন দিয়ে পাটি, আসন, ব্যাগ ইত্যাদি তৈরির উদ্যোগ দিল্লির এনআরজিএস প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে প্রশংসিত হয়েছে। তাই পুরস্কার লাভ।
বুধবার বালুরঘাটে জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, ১১ জানুয়ারি দিল্লিতে জেলার ১০০ দিনের প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ওই কর্মসূচিকে স্বীকৃতি দিয়ে স্কচ অ্যাওয়ার্ড সিলভার পুরস্কার দেওয়া হয়। যা ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় পুরস্কার। মাদুরকাঠি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ওই তিনটি অঞ্চলের পরিবারগুলির সঙ্গে হ্যান্ডলুম দফতরকে যুক্ত করে মাদুর সামগ্রী তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে নিখিল জানান। জেলার এনআরজিএসের নোডাল অফিসার সুব্রত পালিত জানান, হরিরামপুরের তিনটি অঞ্চলে প্রতিটি পরিবার তাদের জমিতে ধান ও অন্য ফসল চাষের পাশাপাশি ১০ শতক করে জমিতে মাদুর কাঠির চাষ করছেন। ৯৯০ শতক জমি এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিটি পরিবার ১০০ দিনের প্রকল্পে শ্রমদিবসের মজুরি হিসাবে পেয়েছেন ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরে দক্ষিণ দিনাজপুরে ১০০ দিনের প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ জবকার্ডধারী মানুষ গড়ে ৪০ দিন কাজ পেয়েছেন। রাজ্যে এই প্রকল্পে এ জেলা পঞ্চম স্থানে বলে জানান নোডাল অফিসার সুব্রত।
আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ তৃণমূল-চালিত বোর্ডের