বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ দেখছেন উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎমন্ত্রী একে শর্মা। টুইটার থেকে নেওয়া।
রাজ্যে বিদ্যুতের হাল কেমন? সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখতে উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকি জেলার একটি বিদ্যুৎ দফতরে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী (উর্জা মন্ত্রী) অরবিন্দকুমার শর্মা। কিন্তু অভিযোগ, মন্ত্রী ঢুকতেই চলে যায় বিদ্যুৎ অফিসের আলো। শেষ পর্যন্ত, অন্ধকারে মোবাইলের টর্চ জ্বেলেই বিদ্যুৎ দফতরের অবস্থা খতিয়ে দেখতে হয় তাঁকে। যদিও বিদ্যুৎ যায়নি বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী নিজে।
মঙ্গলবার বরাবাঁকি জেলার জেপি নগরে একটি বিদ্যুতের সাবস্টেশনে আলো-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। অভিযোগ, আচমকাই এলাকা আঁধারে ডোবে। চলে যায় আলো! যদিও তাতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা আটকায়নি মন্ত্রীর। অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক অরবিন্দ মোবাইলের টর্চ জ্বেলে খতিয়ে দেখেন রেজিস্টার খাতা এবং অন্যান্য নথি। সব দেখা শেষ হলে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিদুৎ না থাকা নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ নিয়ে ধমকও দেন।
যদিও বিদ্যুৎ অফিস পরিদর্শনের সময় লোডশেডিঙের দাবি মানতে নারাজ অরবিন্দ। একটি টুইট করে তিনি দাবি করেছেন, সেই সময় বিদ্যুৎ ছিল। হাতে লেখা রেজিস্টার পড়ার সময় কয়েক জন ভালবেসে তাঁর সামনে মোবাইলের টর্চ ধরেছিলেন বলে দাবি তাঁর।
উত্তরপ্রদেশে ‘বিদ্যুৎ সমাধান সপ্তাহ’ উপলক্ষ্যে বিদ্যুৎমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় আচমকা পরিদর্শন (সারপ্রাইজ ভিজিট) করেন। তেমনই মঙ্গলবার তিনি পৌঁছে যান বরাবাঁকির জেপি নগরের ওই সাবস্টেশনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় বিদ্যুৎ বণ্টন অত্যন্ত খারাপ। সামান্য বৃষ্টিতেও বিদ্যুৎ চলে যায়। এক বার বিদ্যুৎ চলে গেলে আবার আলো জ্বলতে বহু সময় নেয়। মন্ত্রী সেই অভিযোগেরই নিষ্পত্তি করতে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সাবস্টেশনে পৌঁছন। কিন্তু অভিযোগ তিনি ঢুকতেই আলোর অফিসে লোডশেডিং হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ নতুন কোনও ব্যাপার না। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ এ বার সেই সমস্যা সমাধানে বিশেষ নজর দিয়েছেন।