তত ক্ষণে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি, মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে কংগ্রেস নেত্রী কুমারী সেলজার বাসভবনে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ কংগ্রেস সমর্থকদের। ছবি: পিটিআই
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৪৮টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৪৬টি আসন। সেই সংখ্যা স্পর্শ করে ফেলেছে বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছে ৩৭ আসন। ভোটগণণার শুরুতে হরিয়ানাতে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। তবে বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি পাল্টে যায়।
হরিয়ানার ভোটগণনার শুরুর দিকে কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও, বেলা গড়াতেই সমীকরণ বদলে যায়। কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় বিজেপি। তার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিজেপিতে ছাপিয়ে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। হরিয়ানার এই ফলাফলে সন্তুষ্ট নয় তারা। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, এই ফলাফল তাঁদের জন্য অপ্রত্যাশিত এবং এটি তাঁরা মানতে পারছেন না।
জয় কার্যত নিশ্চিত ধরে নিয়ে হরিয়ানাবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিংহ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “আমাদের (সরকারের) কাজের উপরেই ভরসা রেখেছেন হরিয়ানার ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। রাজ্যের গরিব, কৃষক ও যুব সমাজের আশীর্বাদের উপর আমার ভরসা ছিল।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন নায়াব।
এখনও পর্যন্ত পাঁচকুলা, নারায়ণগড়, অম্বালা সিটি, মুলানা, সধাউরা, শাহবাদ, থানেসর, পেহোয়া, কাইথাল, বরোদা, জুলানা, তোহানা, ফতেহাবাদ, রাতিয়া, কলনওয়ালি, সিরসা, এলেনাবাদ, উকলানা, লোহারু, মেহাম, গরহি সম্পলা-কিলই, কালানউর, বদলি, নুহ, ফিরোজপুর ঝিরকা, পুনাহানা, হাথিন, প্রিথলা— এই আসনগুলিতে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এ ছাড়া এগিয়ে রয়েছে আরও আটটি আসনে।
এখনও পর্যন্ত কল্কা, রাদাউর, লাডওয়া, পুন্ডরি, নিলোঘখেরি, ঘরাউন্ডা, ইসরানা, সামালখা, রাই, খরখউদা, সোনিপত, গোহানা, সফিদন, জিন্দ, নারওয়ানা, হংসী, বরওয়ালা, নলওয়া, দাদরি, ভিওয়ানি, তোষম, বাওয়ানি খেরা, পাতাউদি, বাদশাপুর, গুরুগ্রাম, পালওয়াল, ফরিদাবাদ এনআইটি, ফরিদাবাদ এবং তিগাওঁ আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে আরও ২০টি আসনে।
হিসার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী সাবিত্রী জিন্দাল। ১৮৯৪১ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। হিসার থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নবীন জিন্দালের মা সাবিত্রী।
৭১ হাজার ৪৬৫ ভোটে জয়ী হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী ভূপিন্দর হুডা। গরহি সম্পলা-কিলই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৫৩৯টি।
ফল ঘোষণা তখনও হয়নি, তবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে ব্যবধানে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন ভূপিন্দর হুডা। ছবি: পিটিআই।
হরিয়ানার ভোটগণনায় কমিশনের সর্বশেষ তথ্য, ৫১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৩৪টি আসনে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। এর মধ্যে কংগ্রেস ইতিমধ্যে ১৪টি আসনে জয়ী এবং বিজেপি ১৩টি আসনে জয়ী। আইএনএলডি এগিয়ে রয়েছে দু’টি আসনে। অন্যেরা এগিয়ে তিনটি আসনে।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি আবারও এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বর্তমানে এগিয়ে ৪৯টি আসনে এবং কংগ্রেস এগিয়ে ৩৬টি আসনে। তার মধ্যে সাতটি আসনে ইতিমধ্যে জয়ী কংগ্রেস। বিজেপি জয়ী তিনটি আসনে।
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি বর্তমানে এগিয়ে রয়েছে ৪৭টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৮টি আসনে। আইএনএলডি এবং বিএসপি এগিয়ে একটি করে আসনে। অন্যেরা এগিয়ে তিনটি আসনে।
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ চতুর্দশ রাউন্ড শেষে এগিয়ে রয়েছেন ১৭১৩৫ ভোটে।
কংগ্রেসের বিনেশ ফোগাট ইতিমধ্যে জয়ী হয়েছেন।
একাদশ রাউন্ড গণনা শেষে বিজেপির অনিল ভিজ এগিয়ে রয়েছেন ৬৬৭০ ভোটে।
পঞ্চদশ রাউন্ড গণনা শেষে কংগ্রেসের ভূপিন্দর সিংহ এগিয়ে রয়েছেন ৬৭২৩২ ভোটে।
দ্বাদশ রাউন্ড গণনা শেষে জেজেপির দুশ্যন্ত চৌতালা পিছিয়ে রয়েছেন ৩২০৬২ ভোটে।
ত্রয়োদশ রাউন্ড শেষে বিজেপির ক্যাপ্টেন অভিমন্যু পিছিয়ে রয়েছেন ৮৫৮৫ ভোটে।
আইএনএলপির অভয় সিংহ চৌতালা ৮৭১০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
অম্বালা ক্যান্টনমেন্টে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গণনার স্ক্রিনে নজর বিজেপি প্রার্থী অনিল ভিজের। ছবি: পিটিআই।
এক এক করে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটগণনার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জুলানায় জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ফোগাট। খড়খুদায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। জিন্দ থেকেও জয় নিশ্চিত করেছে বিজেপি।
জুলানায় পঞ্চদশ রাউন্ডের গণনা শেষে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট। ৬০১৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। মোট ভোট পেয়েছেন ৬৫০৮০টি। নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির যোগেশ কুমার পেয়েছেন ৫৯০৬৫ ভোট।
৫০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে গেল বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য, ৫১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস বর্তমানে এগিয়ে রয়েছে ৩৪টি আসনে। আইএনএলডি এবং বিএসপি এগিয়ে রয়েছে একটি করে আসনে। অন্যেরা এগিয়ে রয়েছে তিনটি আসনে।
আবার ব্যবধান বৃদ্ধি করল বিজেপি। কিছু ক্ষণ আগেই একটি আসন কমে এসেছিল তাদের। কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফের বিজেপি ৪৯টি আসনে এগিয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস বর্তমানে এগিয়ে ৩৫টি আসনে।
বিজেপির সঙ্গে একটি আসনের ব্যবধান কমাল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি এগিয়ে ৪৮টি আসনে। একটি আসন কমে এসেছে তাদের। অপর দিকে কংগ্রেস আপাতত এগিয়ে রয়েছে ৩৬টি আসনে। একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।
অষ্টম রাউন্ড গণনা শেষে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ এগিয়ে রয়েছেন ৯৬৭১ ভোটে।
নবম রাউন্ড গণনা শেষে কংগ্রেসের বিনেশ ফোগাট এগিয়ে রয়েছেন ৪১৩০ ভোটে।
ষষ্ঠ রাউন্ড গণনা শেষে বিজেপির অনিল ভিজ পিছিয়ে রয়েছেন ৫৪৫ ভোটে।
নবম রাউন্ড গণনা শেষে কংগ্রেসের ভূপিন্দর সিংহ এগিয়ে রয়েছেন ৪৬৫৭৮ ভোটে।
সপ্তম রাউন্ড গণনা শেষে জেজেপির দুশ্যন্ত চৌতালা পিছিয়ে রয়েছেন ১৯১৪৭ ভোটে। তিনি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে।
ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে বিজেপির ক্যাপ্টেন অভিমন্যু পিছিয়ে রয়েছেন ৭৭১৯ ভোটে।
অষ্টম রাউন্ড শেষে আইএনএলপির অভয় সিংহ চৌতালা পিছিয়ে রয়েছেন ৮৭১০ ভোটে।
নবম রাউন্ডের গণনা শেষে জুলানায় ব্যবধান আরও বৃদ্ধি করেছেন বিনেশ ফোগাট। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি এগিয়ে রয়েছেন ৪১৩০ ভোটে। আপাতত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপির যোগেশ কুমার। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান রয়েছেন যথাক্রমে আইএনএলডি ও জেজেপির প্রার্থীরা। তারও পরে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি এগিয়ে ৪৯টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৫টি আসনে। আইএনএলডি এবং বিএসপি উভয়েই একটি করে আসনে এগিয়ে। অন্যেরা এগিয়ে আছে চারটি আসনে।
হরিয়ানার গণনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। কমিশন ভোটগণনার প্রবণতা প্রকাশে দেরি করছে বলে দাবি কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের। সমাজমাধ্যমে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “বিজেপি কি পুরনো এবং বিভ্রান্তিকর প্রবণতা প্রকাশ করার জন্য চাপ দিচ্ছে প্রশাসনকে?” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন। বিজেপি নেতার পাল্টা দাবি, গণনার প্রবণতা এখন কংগ্রেসের পক্ষে যাচ্ছে না বলেই বিরোধীরা এই ধরনের অভিযোগ তুলছেন।