—ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘আমি লোকসভার সকলের তরফে আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। অমৃতকালে দ্বিতীয় বার এই দায়িত্বভার পেলেন আপনি। আমরা আশা করছি আপনি আপনার অভিজ্ঞতার সাহায্যে আপনি আগামী পাঁচ বছর আমাদের পথ দেখাবেন। তবে আমি বলব, আপনার মুখের ওই মিষ্টি মিষ্টি হাসি গোটা সংসদেরই মন ভাল রাখে।’’
তবে একই সঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘স্পিকার পদ সংসদীয় গণতন্ত্রের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ। সাংসদদের আচরণ এবং তাঁদের দায়িত্ববোধকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশের মানুষের কাজ করানো, তাঁদের বিশ্বাস বজায় রাখতে হয় স্পিকারকে।’’
মোদী বিড়লার প্রশংসা করেই বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে এ ভাবে লোকসভার কাজ বেড়ে ৯৭ শতাংশে পৌঁছেছিল। যা গত ২৫ বছরে সর্বোচ্চ। নবনির্বাচিত স্পিকার বিড়লার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত সপ্তদশ লোকসভার কাজে দেশ সন্তুষ্ট হয়েছিল। অষ্টাদশ লোকসভাও আপনার সভাপতিত্বে নতুন মাইলফলক ছোঁবে।’’
অখিলেশ যাদব বললেন, আপনার দায়িত্ব অনেক মহান। কিন্তু আশা করব আপনি লোকসভার গরিমা বজায় রাখবেন। ন্যায় বজায় রাখবেন। আপনাকে অভিনন্দন।
অখিলেশ আরও বলেন, “আপনি যে পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, সেই পদের দীর্ঘদিনের গরিমাময় ঐতিহ্য রয়েছে। আশা করি আপনার ক্ষেত্রে সেই গরিমার অবক্ষয় হবে না। আপনি সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান আচরণ করবেন। সবাইকে সমান সম্মান প্রদান করবেন।”
দ্বিতীয় মোদী সরকারেও ওম বিড়লা ছিলেন লোকসভার স্পিকার। তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকা লোকসভায় একসঙ্গে ১০০ জনের বেশি সংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। নজিরবিহীন সেই ঘটনার ইঙ্গিতও নিজের বক্তৃতায় টেনে এনেছেন অখিলেশ। নব নির্বাচিত স্পিকারকে তিনি বলেছেন, “এই পদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল পক্ষপাতহীনতা। আশা করি সমস্ত জনপ্রতিনিধির বক্তব্য সমান গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে এবং বহিষ্কারের মত ঘটনা আর ঘটবে না।”
স্পিকারকে তাঁর দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়ে অখিলেশ এ-ও বলেন যে, “আপনার নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই বিরোধীদের উপর থাকবে। তবে শাসক দলের প্রতি থাকবে না তা-ও নয়। মনে রাখবেন সংসদ আপনার অঙ্গুলিহেলনে চলবে এর উল্টোটা যেন না হয়।”
এনডিএ প্রার্থী ওম বিড়লা লোকসভার স্পিকার হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁকে স্বাগত জানালেন রাহুল গান্ধীও।
স্পিকারকে তাঁর কর্তব্য এবং পুরনো ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে রাহুল বলেন, “আমি বিশ্বাস করি আপনি আমাদের কথা বলতে দেবেন। কতটা বেশি কাজ সংসদে হচ্ছে বা কতটা সফল ভাবে সংসদ চলছে তা বিচার্য বিষয় নয়। এই সংসদ ভারতের মানুষের জনপ্রতিনিধিদের সংসদ। তাই যেটা দেখার, সেটা হল মানুষের কণ্ঠস্বর এখানে পৌঁছচ্ছে কি না। বিরোধীদের মুখ জোর করে বন্ধ করে হয়তো শাসক ভাল কাজ দেখাতে পারবে। কিন্তু তাতে গনতন্ত্র থাকবে না। সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা যাবে না।”
লোকসভার স্পিকার নির্বাচনের পর ওম বিড়লাকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে, তৃতীয় বার সরকার গঠনের পরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম বক্তৃতা দিলেন মোদী।