ও মন্ত্রী মশাই

এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। অন্য বৈঠকে রাজনাথ সিংহকে পাশে নিয়ে যেন তারই জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তবে সব জবাব ছিল না তাঁদের মুখে। সব ভিত্তিহীন বলেও অরুণ বোঝাতে চেয়েছেন, ললিত মোদীকে সাহায্য করার বিষয়টি সুষমা স্বরাজের একার।এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। অন্য বৈঠকে রাজনাথ সিংহকে পাশে নিয়ে যেন তারই জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তবে সব জবাব ছিল না তাঁদের মুখে। সব ভিত্তিহীন বলেও অরুণ বোঝাতে চেয়েছেন, ললিত মোদীকে সাহায্য করার বিষয়টি সুষমা স্বরাজের একার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০৩:১০
Share:

আনন্দ শর্মা: আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ফেরার ঘোষণার পর ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। হাইকোর্ট সেই পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে বলে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে মোদী সরকার কেন সুপ্রিম কোর্টে গেল না? এ ধরনের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা বা অর্থ, আইন ও বিদেশ মন্ত্রকের একযোগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মতি ছাড়া এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তা হলে কি ‘ছোট মোদীকে’ সুপরিকল্পিত ভাবে বাঁচাতে চাইছিলেন ‘বড় মোদী’?

Advertisement

অরুণ জেটলি: এটা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের (বিদেশ মন্ত্রকের অধীন) বিষয়। তারাই এর দায়িত্ব নেবে।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আয়কর বিভাগ, ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট), রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর তথা অর্থ মন্ত্রক ললিত মোদীর বিরুদ্ধে তদন্তে কী করেছে?

ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইডি-র ১৬টি মামলা রয়েছে। ১৫টি মামলায় একাধিক বার শো-কজ নোটিস জারি করা হয়েছে। ইডি-র অনুরোধে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর লাইট ব্লু কর্নার নোটিস জারি করেছিল। সেই নোটিস এখনও রয়েছে।

মানবিক কারণে মোদীকে ভিসা দিতে বলা হয়েছিল বলে আবেগঘন গল্প ফাঁদছেন বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু সে কথা মিথ্যা। মোদীর স্ত্রীর কোনও বড় অস্ত্রোপচার হয়ইনি। ভিসা পেয়ে মোদী স্পেনে ছুটি কাটাচ্ছিলেন! পরে প্রাইভেট জেটে চড়ে ভেনিস যান। গত কাল (সোমবার) তিনি ছিলেন মন্টিনেগ্রোয়।

বিদেশমন্ত্রী যা করেছেন, তা সৎ উদ্দেশ্যেই করেছেন।

মানবিক কারণে ভিসা দেওয়ারও নিয়ম রয়েছে। ললিত মোদী ভারতীয় নাগরিক। তিনি চাইলে বিদেশ মন্ত্রকের আইন ও চুক্তি বিভাগের কাছে আবেদন করতে পারতেন। তার পরে বিভাগীয় যুগ্মসচিব পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ ও বিদেশসচিবের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন। তা এ ক্ষেত্রে হয়নি কেন? কেনই বা তৎকালীন বিদেশসচিব সুজাতা সিংহকে এ বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হল?

জবাব নেই।

ললিত মোদীকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ছিল ভারতীয় প্রশাসনের। তা না করে বিদেশমন্ত্রী কেন নিজে ব্যক্তিগত স্তরে অন্য একটি রাষ্ট্রকে এ জন্য অনুরোধ করলেন? তা হলে কি গোটা ব্যাপারটা গোপন রাখতে চেয়েছিল সরকার?

জবাব নেই

ইউপিএ জমানায় কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেই ইস্তফার দাবি করত বিজেপি। এখন সুষমা স্বরাজের জন্য কেন ভিন্ন নীতি নেওয়া হচ্ছে?

বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি যা করেছেন, সৎ উদ্দেশ্যে করেছেন। গোটা সরকার ও দল তাঁর পাশে রয়েছে।

রাজনাথ সিংহের কাছে ললিত মোদীর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগের তথ্য রয়েছে। তার পরেও তিনি কী করে সুষমাকে সমর্থন করেন?

রাজনাথ সিংহ: জবাব নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement