প্রতীকী চিত্র।
মুম্বইয়ের মতো এবার বেঙ্গালুরুর পুলিশকর্মীরাও আপনাকে দেখে হাসাহাসি করতে পারেন। ধরুন অফিস থেকে ফিরছেন, কোনও একটি সিগন্যালে আটকে পড়েছেন, ৯০-৮৯-৮৮-৮৭-৮৬-৮৫... এক এক সেকেন্ড করে কমছে সিগন্যালের ওয়েটিং টাইম। এক সময় তা ১০-এর নীচেও নেমে এসেছে। কিন্তু তা-ও যেন ধৈর্যের বাঁধ মানছে না। অভ্যাসবসত গাড়ির হর্ন চেপে ধরছেন বার বার। যেন কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে সিগন্যালের ওই সময়টা আটকে রেখেছেন, আর বার বার হর্ন বাজালে তা দ্রুত সবুজ হয়ে যাবে। আপনার ও আপনার ‘প্রতিবেশী’দের সেই সম্মিলিত সশব্দ বিপ্লবে পাল্টা বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে সিগন্যালটিও। হঠাৎ ফের ৯০ থেকে শুরু হয়ে যেতে পারে ওয়েটিং টাইমের কাউন্টডাউন। আপনি হতাশ-হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবেন লাল আলোর দিকে, আর কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী আপনাকে দেখে হাসাহাসি করবেন।
আসলে দিন কয়েক আগে এমনই একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিল মুম্বই পুলিশ। সেখান দেখা যায় ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে হর্ন বাজালে নতুন করে ৯০ থেকে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাচ্ছে। আর অধৈর্য এই গাড়িচালকদের অবস্থা দেখে বেশ মজাই পাচ্ছিলেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করছিলেন আর ‘হাই-ফাইভ’ দিচ্ছিলেন।
সম্প্রতি মুম্বইয়ে চালু হয়েছে নতুন এক ব্যবস্থা। সেখানে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে হর্ন বাজানোর ফলে তা যদি ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ উত্পন্ন করে, তবে ওয়েটিং টাইম কমার বদলে ফের ৯০ থেকে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। মুম্বই পুলিশের টুইটার হ্যান্ডলে ভিডিয়োটি ৩১ জানুয়ারি আপলোড করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪ বিমান সংস্থা ব্যান করলেও কুণাল কামরার জন্য বিনামূল্যে ভ্রমণের ব্যবস্থা!
মুম্বই পুলিশের আপলোড করা ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ বার দেখেছেন ইউজাররা। নজরে আসে বেঙ্গালুরুর পুলিশ প্রশাসনের। তাই অধৈর্য গাড়ি চালকদের জন্য একই ‘শাস্তি’র বিধান দিতে চাইছে তারাও। যদিও মুম্বইয়ের মতো এখানে হর্ন থেকে শব্দ দূষণের সমস্যা অত বেশি নয়, তবুও সেটাকেও কমাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বেঙ্গালুরুর পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ১০ দিনে গড়ে ওঠা হাসপাতাল চালু চিনে
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের মতো এ শহরে হর্নের সমস্যা ততটা প্রকট নয়। তবুও শব্দ দানবের তাণ্ডব আটকাতে বেঙ্গালুরুর রাস্তাতেও ‘হর্ন মোর ওয়েট মোর’ সিস্টেম চালু করতে চাইছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মেয়ে বিয়ে করবে জানতে পেরে কী বললেন বিশ্বের অন্যতম ধনী বিল গেটস
গোটা বিষয়টি নিয়ে রাও মুম্বইয়ের জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক) মধুকর পাণ্ডের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারপর বেঙ্গালুরুর জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক)-কে বলেছেন শহরের কোন কোন জায়গায় এই ব্যবস্থা চালু করা যায় তার তালিকা তৈরি করতে। পুলিশ প্রশাসন ও নেটিজেনদের একাংশের আশা, নতুন এই পদ্ধতিতে মুম্বইয়ের মতো বেঙ্গালুরুতেও কিছুটা হলেও কমবে শব্দ দূষণ। আর না হলে আপনারই, পথে হবে আরও দেরি।
দেখুন মুম্বই পুলিশের সেই ভিডিয়ো: