Shehla Rashid

জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী শেহলার বিরুদ্ধে মামলা রুজুতে সায় দিল্লি উপরাজ্যপালের

২০১৯ সালের অগস্টে টুইটগুলিতে শেহলার দাবি ছিল, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকে কমবয়সি ছেলেদের তুলে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও খাদ্যসামগ্রী তছনছ করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৪
Share:

শেহলা রশিদের ৩ বছরের পুরনো একাধিক মন্তব্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় সবুজ সঙ্কেত দিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। ছবি: এএফপি।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘কাশ্মীর-মন্তব্য’ নিয়ে বিপাকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) এর প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী শেহলা রশিদ। শেহলার ৩ বছরের পুরনো একাধিক মন্তব্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় সবুজ সঙ্কেত দিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা।

Advertisement

দিল্লির উপরাজ্যপালের অফিস থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সহসভাপতি এবং আইসা-র সদস্য শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা।’’ ওই বিবৃতিতে দাবি, ‘‘বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য ভারতীয় সেনার সম্পর্কে ২টি টুইট করেছিলেন শেহলা, যা শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর।’’

২০১৯ সালের অগস্টে টুইটগুলিতে শেহলার দাবি ছিল, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকে কমবয়সি ছেলেদের তুলে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও খাদ্যসামগ্রী তছনছ করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ওই টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘রাতের বেলা বাড়িতে ঢুকছে সশস্ত্র বাহিনী। ছেলেদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, ইচ্ছা করে রেশনসামগ্রী মেঝেতে ফেলে দিচ্ছে, চালের সঙ্গে তেল মেশাচ্ছে।’’ অন্য একটি টুইটে তাঁর দাবি, ‘‘শোপিয়ানের ৪ জনকে সেনার শিবিরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ (অত্যাচার) করা হয়েছে। তাঁদের সামনে একটি মাইক রাখা হয়েছিল। যাতে গোটা এলাকার লোকজন অত্যাচারের ফলে তাঁদের চিৎকার শুনতে পায় এবং আতঙ্কিত হয়। ওই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতেই এমনটা করা হয়েছিল।’’

Advertisement

যদিও শেহলার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ভারতীয় সেনা। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন শেহলা। সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারায় দেশদ্রোহিতা, ১৩৫-এ ধারায় শত্রুতায় প্ররোচনা, ১৫৩ ধারায় দাঙ্গায় উস্কানি, ৫০৪ ধারায় শান্তিভঙ্গ এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে অপমানের উদ্দেশ্যে মন্তব্য এবং ৫০৫ ধারায় জনগণের মধ্যে অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে মন্তব্য করার মতো ধারায় অভিযোগ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন আইনজীবী অলখ অলোক শ্রীবাস্তব। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শেহলার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল। শেহলার বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তাতে সমর্থন ছিল তৎকালীন দিল্লি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। ওই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন দিল্লি উপরাজ্যপাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement