ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা গত কাল সাংসদদের সতর্ক করেছিলেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুও আজ তাঁর কক্ষের সাংসদদের চিঠি দিয়ে জানালেন, সংসদীয় কমিটির বৈঠকের বিষয়বস্তু গোপনীয় হওয়ায় এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা কিংবা বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা ফাঁস করা যাবে না। যদিও সাংসদের সতর্ক করে দেওয়ার সেই চিঠিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। যেখানে বলা হয়েছিল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়িক স্বার্থের কথা মাথায় রেখে বিজেপি নেতাদের বা বিজেপি সমর্থিত সংগঠনের ঘৃণা-মন্তব্যকে পরিকল্পিত ভাবে এড়িয়ে যান। এর পরেই ফেসবুকের ভারতীয় শাখার কাছে জবাবদিহি চায় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ওই কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। বিজেপির অভিযোগ, ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ডাকার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে দেন শশী। বিজেপির পক্ষ থেকে গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। স্পিকারের কাছে তারুরের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
সংসদীয় কমিটির আলোচনা ভবিষ্যতে যাতে সংবাদমাধ্যমে ফাঁস না হয়, সে জন্য গত কাল লোকসভার সাংসদদের চিঠি দেন স্পিকার। কমিটির আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা করতে নিষেধ করেন তিনি। আজ রাজ্যসভার সাংসদদের চিঠি দেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। তিনি জানান, যত ক্ষণ না পর্যন্ত কমিটির রিপোর্ট সংসদে পেশ হচ্ছে, তত ক্ষণ কমিটি কী বিষয়ে আলোচনা করেছে তা গোপনীয় চরিত্রের থাকে, এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা যায় না। রিপোর্ট পেশের আগে সাংসদদের প্রকাশ্যে মুখ খোলা গোপনীয়তা ভঙ্গের সামিল। যদিও রাজ্যসভার সচিবালয় সূত্রে বলা হয়েছে, কমিটির বৈঠক ঘিরে গোপনীয়তার ওই নিয়ম শুরু থেকে চলে আসছে। বর্তমান বিতর্কের প্রেক্ষিতে তাই সাংসদদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিতেই ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে।