ফাইল ছবি
সংবাদপত্রের খবর নেটে পাঠকের সামনে পরিবেশনের দৌলতে বিজ্ঞাপনী আয়ের প্রাপ্য ভাগ (৮৫%) খবরের কাগজকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গুগলকে চিঠি দিল দ্য ইন্ডিয়ান নিউজপেপার সোসাইটি (আইএনএস)। গুগল ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সঞ্জয় গুপ্তকে ওই চিঠি দিয়েছেন আইএনএসের প্রেসিডেন্ট এল আদিমূলম। বক্তব্য, তথ্যনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য খবর সংগ্রহ এবং পরিবেশনের জন্য যথেষ্ট টাকা খরচ করে সংবাদপত্রগুলি। কিন্তু নেট দুনিয়ায় সেই সব খবরের ‘লিঙ্ক’ নিখরচায় পড়েন পাঠক। বিজ্ঞাপনী আয়ের সূত্রে গুগল ফুলেফেঁপে উঠলেও, বঞ্চিত খবরের কাগজ।
আইএনএসের যুক্তি, খবরের কাগজ সংবাদের সব থেকে বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম। এখন অনলাইনে যে পরিমাণ ‘ফেক নিউজ’ বা ভুয়ো খবরের রমরমা, তাতে সেই খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বেশি প্রমাণিত। তথ্য, বিশ্লেষণ, বিনোদনে ঠাসা সেই খবরের জন্য প্রাপ্য টাকা ও বিজ্ঞাপনী আয়ের সঠিক ভাগ চায় তারা।
চিঠিতে মনে করানো হয়েছে, বিজ্ঞাপনী আয় খবরের কাগজের আর্থিক মেরুদণ্ড। সেখানে ডিজিটাল দুনিয়ায় তার ভাগ ক্রমশ কমছে। অথচ তাদের খবর বা ‘কনটেন্ট’ ব্যবহার করেই বিজ্ঞাপন থেকে বিপুল অঙ্ক আয় করছে গুগল। সামান্য একটি অংশ ‘ঠেকিয়ে দিচ্ছে’ সংবাদপত্রকে। ‘উটকো’ পোর্টালের খবরের সঙ্গে সংবাদপত্রের বহু পরিশ্রম ও ব্যয়ে করা খবরের পার্থক্য বিস্তর। তাই আইএনএসের দাবি, সংবাদপত্রগুলির জন্য বিজ্ঞাপনী আয়ের ভাগ বাড়িয়ে ৮৫% করুক গুগল। ওই আয়ের রিপোর্টেও স্বচ্ছ হোক তারা।
অভিযোগ, অনেক সময় গুগল এমন কিছু ওয়েবসাইট থেকে খবর তোলে, যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কম। তার বদলে নথিভুক্ত সংবাদপত্র থেকে খবর সংগ্রহ বাড়ালে, ‘ফেক নিউজ’ আটকানো যাবে বলে দাবি। কনটেন্টের দাম ও বিজ্ঞাপনী আয়ের প্রাপ্য ভাগ পেতে গুগলের সঙ্গে কথা বলছে বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্র। সেই সূত্রে গুগল টাকাও বাড়াতে বাধ্য হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবারই পাশ হয়েছে সংবাদ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী। এই আইনে ফেসবুক, গুগলের মতো সংস্থাকে স্থানীয় সংবাদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে টাকা গুনতে হবে।