ফাইল চিত্র।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে, এটাই বলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট সরকারের সেই লক্ষ্যমাত্রাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল। টিকাকরণের যা গতি, তাতে ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব, কেন্দ্রকে এই বাস্তব সত্য মেনে নিতে বলে ভর্ৎসনা করল আদালত।
বিচারপতি বিপিন ষড়ঙ্গি ও জশমিত সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলেছে, ‘‘আমরা জানি না, ৩১ ডিসেম্বরের যে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, তাতে আদৌ পৌঁছনো সম্ভব হবে কি না। মনে হচ্ছে আমরা পারব না। গতকালই একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে দৈনিক ৯০ লক্ষের টিকাকরণ করা দরকার। কী করে সেই দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে? আমাদের পরিকাঠামো নেই, টিকা নেই। তাই এটা অসম্ভব। এই বাস্তব সত্যের মুখোমুখি আমাদের দাঁড়াতে হবে।’’
দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এই মত প্রকাশ করেছে আদালত। জুন মাসে আদালত কর্পোরেট সংস্থাগুলির সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর)-এর মধ্যে টিকাকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছিল। পাশাপাশি, কোনও প্রতিষ্ঠানের যদি হাসপাতাল থাকে, সেখানে নিজের করোনা আক্রান্ত কর্মীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও পূরণ হয়নি। আদালত এই নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি বলেছে, সরকারের উচিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়িত্বের আওতায় এটিকে আনতে হবে। কোনও সংস্থা যদি ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করে থাকে, তাহলে তাকেও এই বিষয়টির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্র আদালতকে জানিয়েছে, সংস্থাগুলির সিএসআর-এর মধ্যেই এগুলি পড়ছে। কোনও সংস্থা যদি তাঁর কর্মীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও টিকা দিতে চায়, তাহলে তা সিএসআর-এর আওতায় বলেই ধরা হচ্ছে।